ফাইল চিত্র।
পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার চারটি স্কুল। বন্ধ হতে চলা স্কুলের তালিকায় রয়েছে আরও ২৯টি। ওই সমস্ত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এখন শূন্য। কিছু দিনের মধ্যে সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। বন্ধ হওয়া আটকাতে জেলার ন’টি বাংলা মাধ্যম স্কুলে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও বিভিন্ন বিষয়ের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় সরকারি এবং সরকারি অনুদানে চলা মোট স্কুলের সংখ্যা ৬৩৪। বিভিন্ন কারণেই কমতে কমতে ওই স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, হাওড়া শহর ও গ্রাম মিলিয়ে এ রকম প্রায় ৩৩টি স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তির সংখ্যা এখন শূন্য, অর্থাৎ ‘জ়িরো এনরোলমেন্ট’। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলগুলির শিক্ষকদের কোনও কাজ ছিল না। তাঁরা স্কুলে আসতেন এবং সময় হলে ফিরে যেতেন।
শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, হাওড়ায় সম্প্রতি চারটি ‘জ়িরো এনরোলমেন্ট’ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্কুলগুলি হল: আর্য বালিকা বিদ্যালয়, শিবপুর শিক্ষালয়, সালকিয়া রত্নাকর হিন্দি জুনিয়র হাই স্কুল এবং শিবপুর হিন্দি বালিকা বিদ্যালয়। এর মধ্যে আর্য বালিকা বিদ্যালয়কে তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি স্কুলের শিক্ষকদের যথাক্রমে ডোমজুড়ের সাতালি হাই স্কুল, বটানিক্যাল গার্ডেন জুনিয়র হিন্দি হাই স্কুল এবং বিনোদিনী হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে বদলি করা হয়েছে।
কেন এই পরিস্থিতি? শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সমস্যা মূলত শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতেই দেখা যাচ্ছে। অভিভাবকেরা সব সময়েই চান, তাঁদের সন্তান দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একই স্কুলে পড়ুক। দেখা গিয়েছে, ‘জ়িরো এনরোলমেন্ট’ স্কুলগুলি বেশির ভাগই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তা ছাড়া, সেগুলি কোনওটাই ইংরেজি মাধ্যম নয়। বাংলা বা হিন্দি মাধ্যম। সেই কারণেও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে।
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেখে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে হাওড়ার মোট ন’টি স্কুলে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তাতে খুব ভাল সাড়া মিলেছে।’’