ধৃতদের থেকে উদ্ধার হওয়া গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্র। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
হাওড়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত চার দুষ্কৃতীকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬০ রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গুলাব খান, জিতেন্দ্র মাহাতো ওরফে ডেনড্রাইট, গজানন কুমার মল্লিক এবং দীপক দাস ওরফে দীপকা। তাদের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি, মালিপাঁচঘরা ও শিবপুর থানা এলাকায় খুন, ছিনতাই-সহ একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ বঙ্কিম সেতুর উপরে তারক ভুঁইয়া নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর থেকে টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পাওয়ায় তাঁকে গুলি করে খুন করে চার দুষ্কৃতী। তারকবাবুর বাড়ি মধ্য হাওড়ার ঘোষপাড়ার ফকিরচাঁদ ঘোষ লেনে। পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গুলাব খান নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী আর এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে ওই সময়ে সেতুর উপর দিয়ে হাওড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে হেঁটে যাচ্ছে।
এর পরেই অভিযুক্তদের সন্ধানে শুক্রবার দুপুরে ঘুসুড়ির তিরুপতি জুট মিলের কাছে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। সে সময়ে মূল অভিযুক্ত গুলাব পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। শেষমেশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে বর্ধমান থেকে চার জনকে ধরে পুলিশ। রবিবার তাদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিন গোলাবাড়ি থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসি (উত্তর) অমিতকুমার রাঠৌর বলেন, ‘‘ধৃতেরা হাওড়ার কুখ্যাত অপরাধী। মাছ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরায় চার জনের ছবি দেখে তাদের প্রথমে শনাক্ত করা হয়। পরে বর্ধমান থেকে অস্ত্র-সহ ধরা পড়ে অভিযুক্তেরা।’’
ডিসি জানান, ধৃতদের থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ২০ রাউন্ড সেভেন এমএম পিস্তলের গুলি এবং ৪০ রাউন্ড এইট এমএম পিস্তলের গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই আগ্নেয়াস্ত্র এবং এত বিপুল পরিমাণ গুলি ধৃতেরা কোথা থেকে পেল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু কী ভাবে বর্ধমানে ওই দুষ্কৃতীদের সন্ধান মিলল, তা বলতে চাননি তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা নিশ্চিত, ওই ব্যবসায়ী ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলি চালিয়েছে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই-সহ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।