দলের কর্মী-সমর্থকরা যাতে এ বার কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের সভায় নিশ্চিন্তে যেতে পারেন তার জন্য তৃণমূলের তরফে প্রস্তুতি তুঙ্গে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে ক্যাম্প অফিস। সেখানেই রবিবার দিনভর থাকবেন দলের স্থানীয় নেতারা। কলকাতামুখী বাসের সুবিধা-অসুবিধার দিকে তাঁরা নজর রাখবেন।
একইভাবে হাওড়া স্টেশনে বড় ঘড়ির তলায় দলের তরফে ক্যাম্প অফিস করা হচ্ছে। সেখানে দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব নিজে থাকবেন। ট্রেনে চেপে দলের বহু সমর্থক আসেন। তাঁদের দেখভালের জন্যই ওই আয়োজন।
এ বারের ২১ জুলাই দলের কাছে বড় পরীক্ষা। তাই তার প্রস্তুতিও ব্যাপক। হুগলিতে চাঁপাডাঙা, ডানকুনি, মাইতিপাড়া, সিঙ্গুরে এক্সপ্রেস ওয়ের ধারে ক্যাম্প অফিস করা হচ্ছে। হুগলি জেলা হচ্ছে কলকাতায় ঢোকার প্রবেশদ্বার। ফলে শুধু হুগলি নয়, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার সমস্ত বাস হুগলিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোড হয়ে কলকাতায় ঢুকবে। ফলে ডানকুনিতে চাপ হবে বাসের। আরামবাগ দিয়েও মেদিনীপুরের বেশ কিছু বাস কলকাতায় আসবে।
তাই ডানকুনিতে পুলিশের পিকেট থাকবে। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফেও একটি ক্যাম্প অফিস করা হচ্ছে ডানকুনিতে। আরামবাগ হয়ে যে সব বাস ডানকুনিতে আসবে সেই সব বাস কলকাতার শ্যামবাজার দিয়ে সভাস্থলে যাবে। তাই পুলিশের পাশাপাশি ডানকুনিতে তৃণমূলের যে ক্যাম্প অফিস তৈরি হবে, সেখানকার দলীয় কর্মীরাও বাসগুলি যাতেসঠিক পথে কলকাতার দিকে এগোয় সেই কাজে ব্যস্ত থাকবেন। ডানকুনির মাইতিপাড়ার কাছেও পুলিশের একটি পিকেট থাকছে। থাকছে তৃণমূলের কর্মীদের দলীয় ক্যাম্প অফিস। ওই পথেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অভিমুখে বাসগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
অনেক ক্ষেত্রেই বাসের চালকেরা নিজেদের পচ্ছন্দের রুটে যেতে চান। পুলিশ জানিয়েছে, সেই বিষয়টি কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে। হুগলির সিঙ্গুরেও একটি ক্যাম্প অফিস থাকছে শাসকদলের। দূরের জেলা থেকে আসা বাসগুলিকে ঠিক রাস্তা দেখিয়ে দেওয়াই তাঁদের কাজ।
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের বলা আছে পুলিশ যা বলবে, সেই অনুযায়ী সাহায্য করতে। কোনও ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে পুলিশের পরামর্শ অনুয়ায়ী কাজ করতে হবে।’’
হুগলি জেলা থেকেই এ বার অন্তত ৪০০টি বাস যাবে। তার উপর তিন জেলা থেকেও শ’য়ে শ’য়ে বাস যাবে জেলার উপর দিয়ে। তাই সব অর্থেই এবার সাজ সাজ রব কলকাতায় ২১ জুলাই ঘিরে।