নার্সিংহোমের বাইরে বিক্ষোভ রোগীর পরিবারের। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরীক্ষার নামে টাকা নিয়ে রিপোর্ট না দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় ডানকুনির একটি বেসরকারি নার্সিংহোম। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর পরিবার ও আত্মীয়রা। নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।
সোমবার মোটরসাইকেলে চেপে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন রহমত আলি নামের এক যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় লিচুবাগানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১১০০ টাকা নেওয়া বলে জানিয়েছেন রোগীর পরিবার।
মঙ্গলবার সকালে নার্সিংহোমের তরফে রোগীর পরিবারকে জানানো হয়, রহমতের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। সব মলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বিল মেটাতে হতে পারে তাঁদের। এতে ভয় পেয়ে যান রহমতের পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনরা। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে রহমতকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: খেজুরিতে তৃণমূল প্রতীকের সামনে থেকেই শুরু হল শুভেন্দুর মিছিল
সেই মতো নার্সিংহোমের বিল মিটিয়ে বেরনোর সময় করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও চান রহমতের পরিবারের লোকজন। কিন্তু নার্সিংহোমের তরফে তাঁদের জানানো হয়, রিপোর্ট দেওয়া যাবে না। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আশেপাশের এলাকা থেকে রহমতের পরিবারের পরিচিত লোকজনও নার্সিংহোমে ছুটে আসেন। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কোভিড রুখতে কেন্দ্রের সঙ্গেই কাজ করবে রাজ্য, মোদীকে বললেন মমতা, দরবার বকেয়া অর্থেরও
বেশ কিছু ক্ষণ এ ভাবে চলার পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিতে চান। কিন্তু রহমতের পরিবার তা নিতে অস্বীকার করে। তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম পরীক্ষা করাই হয়নি। যেমন ইচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ডানকুনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে রহমতের পরিবার। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খোলেননি এখনও পর্যন্ত।