সিলিন্ডার ‘লিক’, আতঙ্ক স্কুলে

প্রধান শিক্ষক প্রণব পাল বলেন, ‘‘দু’দিন আগেই নতুন সিলিন্ডার লাগানো হয়। কেউ হতাহত না হলেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ ভাবে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পোলবা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০০:৫২
Share:

মিড-ডে মিল রান্নার সময় সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ‘লিক’ করে আগুন ধরে যাওয়ায় এবং বিস্ফোরণে বুধবার সকালে আতঙ্ক ছড়াল পোলবার অ্যাড়েঙ্গা অরবিন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে, ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে থাকা অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র এবং জলের সাহায্যে আগুন কিছুটা আয়ত্তে আনেন। পরে দমকল গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। স্কুল ছুটি দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক প্রণব পাল বলেন, ‘‘দু’দিন আগেই নতুন সিলিন্ডার লাগানো হয়। কেউ হতাহত না হলেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ ভাবে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুলভবন সংলগ্ন একটি ঘরে মিড ডে মিলের ভাত রান্না করছিলেন আশা কোলে নামে এক মহিলা। রান্নার কিছু সরঞ্জাম আনতে তিনি যখন স্কুল ভবনে যান, তখনই ওই দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণে শব্দে তিনি রান্নাঘরে ফিরে এসে দেখেন, সিলিন্ডার থেকে আগুন বেরোচ্ছে এবং কালো ধোঁয়ায় চারপাশ ভরে গিয়েছে। তার মধ্যেই আরও দু’বার বিস্ফোরণ হয়। সেই শব্দে গ্রামবাসীরা চলে আসেন। আসে পুলিশ। দমকলের একটি ইঞ্জিনও চলে আসে। দমকলকর্মীরা সিলিন্ডারটি রান্না ঘর থেকে বের করে দড়ি বেঁধে স্কুলের পাশের একটি পুকুরে ডুবিয়ে দেন। দমকল এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সিলিন্ডার এবং রান্নার ওভেন বদল করে রান্না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

দমকল আধিকারিকদের অনুমান, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ‘লিক’ করে এই দুর্ঘটনা। রান্নার কাজে নিযুক্ত আশাদেবী বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে থাকলে হয়তো আমারই কিছু একটা হয়ে যেত। মনে পড়লে এখনও গা শিউরে উঠছে।’’ অনিতা কোলে নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘বিকট আওয়াজ পেয়ে আমরা স্কুলে চলে আসি। পড়ুয়ারা তখন ভয়ে ছোটাছুটি করছিল। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে স্কুল বেঁচে গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement