নজরদারি: জমিতে তাঁবু টাঙিয়ে রাত জেরে পেঁয়াজ-পাহারা। ছবি: সুশান্ত সরকার
পথ দেখিয়েছেন হরিহরপাড়ার বসিরুদ্দিন-মধুমঙ্গলরা। খেতে রাত পাহারা শুরু করেছেন পান্ডুয়ার দীপক দাস, ভাস্কর দাসেরাও। পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে হবে।
ইতিমধ্যেই দেড়শো ছুঁয়েছে পেঁয়াজের দাম। নতুন বছর আসার আগে সেই দাম কমবে না বলে ধরেই নিয়েছেন অনেকে। বরং দাম আরও বাড়বে কিনা, সে চর্চা চলছে। মহার্ঘ সেই পেঁয়াজ যাতে খেত থেকে চুরি না-যায়, সে জন্য মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রামে টর্চ হাতে রাত-পাহারা শুরু করেছেন চাষিরা।
হুগলিতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় বলাগড় ব্লকে। ওই ব্লকের সীমানা ঘেঁষা পান্ডুয়ার আবিরা গ্রামেও পেঁয়াজ চাষ হয়। বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে নতুন করে চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু ভয় পাচ্ছেন দীপক, ভাস্করের মতো চাষিরা। কারণ, পেঁয়াজ চাষ করতে হলে বীজ হিসেবে খেতে পেঁয়াজই বসাতে হয়। মাস চারেক পরে ফলন হয়। তাই তাঁবু খাটিয়ে তাঁরাও পেঁয়াজ পাহারা শুরু করেছেন। দীপক বলেন, ‘‘বারো বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছি। ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছি। কিন্তু যে ভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাতে মাঠ থেকে পেঁয়াজ চুরি হতে পারে। পাহারা দেওয়া ছাড়া গতি কী! ১৬-১৮ দিন পরে চারা বেরোলে তখন চুরির ভয় আর থাকবে না।’’
ভাস্কর বলেন, ‘‘আমি ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আমিও মাঠে ঠান্ডার মধ্যে পাহারা দিচ্ছি। চাষের জন্য প্রচুর টাকা ধার করেছি। কিন্তু পেঁয়াজ এখন ভীষণ দামি। তাই ভয় হচ্ছে।’’