বালিতে টিম পিকে-র বৈঠকে তৃণমূলের দুই শিবিরের বিতণ্ডা— নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার বালিতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। বুধবার বঙ্গ জননী কর্মসূচিতে বালি বিধানসভা এলাকার ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরকে নিয়ে বেলুড় অগ্রসেন ভবনে বৈঠক করছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিম। সকাল ১১টা নাগাদ বৈঠক চলাকালীন বালি মহিলার তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী বিজয়লক্ষ্মী রাও অনুগামীদের নিয়ে উপস্থিত হন সেখানে। তিনি জানতে চান, স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বাদ দিয়ে কেন বৈঠক করা হচ্ছে।
বিজয়লক্ষ্মীরা অভিযোগ তোলেন, বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি বিধায়ককে। এ বিষয়ে টিম পিকে-র প্রতিনধি এবং উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। শুরু হয় বচসা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সামাল দেন।
টিম পিকে-র বৈঠকে হাজির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিধায়ক বৈশালীর ঘনিষ্ঠ বিজয়লক্ষ্মী তোলাবাজি করেছেন। এ বিষয়ে সব অভিযোগ টিম পিকে-কে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বৈশালীর বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ বলে নাম না করে পোস্টার পড়েছিল বালিতে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বালির বিধায়ক বৈশালী জানান, পিকে-র টিমের এই ভূমিকায় তিনি অবাক। তিনি বলেন, ‘‘টিম পিকে দলটার ভাল করতে চাইছে না কি বিভাজন করতে চাইছে, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ বৈশালীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে কেন বৈঠক হচ্ছে জানতে চাওয়ায় তৃণমূল নেত্রী বিজয়লক্ষ্মীকে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতায় নড্ডাকে কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা
অন্যদিকে, ‘বৈশালী বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত বালির তৃণমূল নেতা তফজিল আহমেদ বলেন, ‘‘কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বালির বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য এখানে (তৃণমূলে) এসেছেন। এঁদেরকে বহিষ্কার না করলে তৃণমূল দলটা থাকবে না। এ বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবা উচিত।’’
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের আবেদন, ছাড়পত্র নয় এখনই