বিলম্ব: কাজ চলছে দিল্লি রোডে। —নিজস্ব িচত্র
২০১৫ সালে হুগলিতে শুরু হয়েছিল দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ। চার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। দিল্লি রোডে কাজের জেরে লাগোয়া বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোড, অহল্যাবাঈ রোড-সহ বেশ কিছু রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এ দিকে শেওড়াফুলির কাছে সেতু দুর্বল থাকায় ভারী যান চলাচল করতে পারছে না। দুইয়ে মিলে সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
চার বছর আগে ডানকুনি থেকে পাণ্ডুয়া পর্যন্ত দিল্লি রোডের ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে হাত দেয় রাজ্য সরকার। দু’টি ভাগে ভাগ করে ওই কাজ শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে চন্দননগর থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে। বছর দু’য়েক হল সেই পথে স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চলাচল করছে। তবে ডানকুনি থেকে চন্দননগর পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে এখনও। রাস্তা সম্প্রসারণের শুরুতে মুম্বইয়ের দুই ভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থা রাস্তার দু’টি অংশের কাজের বরাত পায়। ডানকুনি থেকে চন্দননগরের অংশের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি সংস্থাকে নিয়ে একসময় বিস্তর জলঘোলা হয়। সংস্থার কর্মীরা টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেই কারণে ওই অংশের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে বিষয়টি মেটে। এর মাঝে অবশ্য রাজ্য সরকার দিল্লি রোডের ওই অংশের বকেয়া কাজে মুম্বইয়েরই অন্য একটি ঠিকাদারি সংস্থা নিয়োগ করে। বর্তমানে তারাই কাজ করছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সংস্থার সমস্যার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার জেরেও রাস্তার কাজ থমকে গিয়েছে বারবার। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী দিল্লি রোডেও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মতোই টোল চালু হবে। টোলের জন্য ওই রাস্তায় কাউন্টার-সহ অন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছিলেন, টোল চালু হলে চলাফেরার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। বিষয়টা আমরা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এসব করতে গিয়েই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে।’’
হুগলির জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের তরফে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। সব মিলিয়ে দিল্লি রোডে ওই অংশের কাজ শেষ হতে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস হয়ে যাবে। সব ঠিক থাকলে, নতুন বছরে ওই রাস্তার সুবিধা আমরা পাব।’’