ধৃত কারখানার মালিক।—নিজস্ব চিত্র।
ভেজাল সিমেন্ট কারখানার হদিস মিলল পোলবার হোসনাবাদে। মঙ্গলবার সিআইডি হানা দিয়ে কারখানার মালিক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বিভিন্ন নামীদামি সংস্থার সিমেন্টের বস্তায় নকল সিমেন্ট ভর্তি করে বাজারে বিক্রি করা হতো। সম্প্রতি সিআইডি এই জাল চক্রের হদিস পায়। গত রবিবার বৈদ্যবাটীতে একটি জাল সিমেন্ট কারখানায় হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করে জাল সিমেন্ট ভর্তি বস্তা। এরপর তদন্তে নেমে মঙ্গলবার মগরার কাছে জিটি রোডের ধারে পোলবা থানার হোসনাবাদে আরও একটি জাল সিমেন্ট কারখানার খোঁজ পায় পুলিশ। তারপরেই এ দিন ডিএসপি (সিআইডি) পিনাকীরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল সেখানে হানা দেয়। প্রথমে কারখানায় কর্মরত তিন কর্মী ও ম্যানেজার রাজু মালিককে আটক করা হয়। এরপর ম্যানেজারকে নিয়ে কারখানার মালিক অপূর্ব চট্ট্যোপাধ্যায় ওরফে বাপ্পাকে তাঁর কল্যাণীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে বেশ কয়েক বছর ধরেই তারা জাল সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছে। জিটি রোডের ধারে একটি পেট্রল পাম্পের পিছনে কয়েক কাঠা জমিতে ব্যবসা চালায় তারা। আইএসআই ছাপ মারা নামী সংস্থার বস্তায় জাল সিমেন্ট ভরে বাজারে বিক্রি করা হতো। পাশৈপাশি স্থানীয় ইমারতি ব্যবসায়ীদের দোকানেও ওই সিমেন্ট সরবরাহ করা হত।
পুলিশ জানিয়েছে, কারখানা চত্বরে ছোট ছোট কুঠরিতে শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। কাজের শেষে বাজার করা ছাড়া শ্রমিকদের বাইরে বেরোনোর জো ছিল না। কারণ, কারখানা কর্তৃপক্ষের ভয় ছিল শ্রমিকেরা বাইরে গেলে এই জাল ব্যবসার কথা ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কারখানার মালিক স্বীকার করেছে, আগে তার মামা এই ব্যবসা চালাত। কয়েক বছর ধরে সে দায়িত্ব হাতে নেয়। কলকাতার শোভাবাজার এলাকার দোকান থেকে নামী সংস্থার সিমেন্টের নতুন বস্তা কিনে আনত তারা। তারপর তাতে জাল সিমেন্ট ভর্তি করে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়া হতো।’’