বেলুড় মঠের এই আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ হতে চলেছে।
বেলুড় মঠে ৪ দশক ধরে রেলের একটি আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এ বার সেটি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই মৌখিক ভাবে রামকৃষ্ণ মিশনকে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার। কম্পিউটারাইজড আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রটি বন্ধের বিষয়ে দ্রুত চিঠি দেওয়া হবে বলেও পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রটির জন্য বেলুড় মঠকে মাসে ৫ হাজার টাকা ভাড়া দিত পূর্ব রেল। তিন জন কর্মী কাজও করেন এখানে। বেলুড় মঠ সূত্রে খবর, এই টিকিট বুকিং কাউন্টার বন্ধ করার বিষয়ে জানার পর মঠ কর্তৃপক্ষ পূর্ব রেলের কাছে কোনও ভাড়া ছাড়াই জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘খরচের দোহাই’ দিয়ে সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে রেল। পূর্ব রেলের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, সেখানে কর্তব্যরত রেলকর্মীদের ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে বেলুড় মঠ স্টেশনে আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে।
বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন সারদা পীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দজি জানান, প্রবীণ সন্ন্যাসী-সহ দেশি ও বিদেশি ভক্তদের সুবিধার জন্য ১৯৮০ সালে বিশ্ব ধর্ম মহাসভা উপলক্ষে ওই সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছিল। জিটি রোডে মঠ লাগোয়া জায়গায় ওই আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে আশ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বয়স্ক নাগরিকরাও উপকৃত হতেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই বিষয়টি চিঠি দিয়েও জানানো হবে বলে রেল বলেছে।’’
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় ফের জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত ৮
ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ায় সন্ন্যাসী-সহ বয়স্ক নাগরিকরা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর একাংশের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমল দেও দাস বলেন, ‘‘এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে মঠের সঙ্গে কথা বলেই নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: আমেরিকার কংগ্রেসে খারিজ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো