ফািল চিত্র
করোনা-কালে পুজো। তাই এবার ছুটি নয়। হুগলিতে একেবারে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সব শ্রেণির সরকারি কর্মী এবং আধিকারিকদের কাজে থাকার বিশেষ নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। জানিয়ে দিলেন পুজোর দিনগুলিতে প্রশাসনিক কাজে কোনও রকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না।
স্বাস্থ্য, দমকল, জল, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলার মতো জরুরি দফতরগুলি ছাড়া প্রতিবারই ষষ্ঠীর পর থেকে সব সরকারি অফিস ছুটি পড়ে যায়। এক শ্রেণির অফিসার এবং কর্মীরা ছুটির মেজাজে চলে যান। কিন্তু এ বার যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে নবান্ন থেকে প্রশাসনের সব স্তরেই নির্দেশ রয়েছে, মানুষ চাইলে যেন সরকারি পরিষেবা পান।
সেই সূত্রেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছেন হুগলির জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, এ বছর পুজোয় ছুটি নয়, মানুষকে পরিষেবা দিতে। কারণ, করোনার কারণে এ বার আমাদের একেবারেই ভিন্ন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হচ্ছে। তাই সরকারি গাইডলাইন মেনে প্রত্যেক সরকারি কর্মী এবং অফিসারকে কাজ করতে হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লক অফিস এবং পঞ্চায়েত অফিসও খোলা রাখতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতে প্রধান-উপপ্রধানদের হাজির থাকতে হবে। একই নির্দেশিকা রয়েছে পুরসভাগুলির ক্ষেত্রেও। যাতে মোবাইলে কোনও সরকারি নির্দেশিকা গেলে তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের কর্মী ও অফিসারদের পাওয়া যায়।
প্রতি বছর তৃতীয়ার দিন থেকেই মানুষের ঢল নামে কলকাতার রাস্তায় এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ পুজো মণ্ডপগুলিতে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরে এ বার কিন্তু সেই ছবি দেখা গেল না। ওই রায় এবং পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় এ বার পুজোর ভিড়কে এড়ানো গেলে অতিমারির বিপর্যয়ের আশঙ্কা অনেকটাই স্তিমিত হবে বলে সব মহলের আশা।