পল্টু দাস ও আলো দাস। নিজস্ব চিত্র।
পুরনো ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের জেরে খদ্দেরের অভাবে ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
গত ৮ নভেম্বর পুরনো নোট বাতিলের নির্দেশ জারি করে কেন্দ্র। তার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। এই একমাসে অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ফের ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। আর তাই আশঙ্কার মেঘ জমছে ব্যবসায়ীদের মুখে। দোকানে মানুষ কেনাকাটা করতে আসছেন। কিন্তু খুচরা নগদের সমস্যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেচাকোনায় বাধা পড়ছে।
চুঁচুড়া আদালত চত্বরে ক্যান্টিন চালান লেনিন নগরের বাসিন্দা পল্টু দাস। আদালত ভবনের নীচে তাঁর দীর্ঘদিনের ব্যবসা। আয়োজনও কম নয়। প্রতিদিন সকালে দোকান খোলেন পল্টুবাবু। আইনজীবি থেকে আদালতকর্মীরা তাঁর ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করেন।
পল্টুবাবুর কথায়, ‘‘পুরনো টাকা বাতিলের জেরে ব্যবসায় বেশ কিছুটা ক্ষতি তো হয়েইছে। আগে খদ্দেররা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট দিলেও খুচরো দেওয়া যেত। কিন্তু হঠাৎ তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খরিদ্দাররা ক্যান্টিনে খেতে আসতে পারছেন না। যাঁরা আসছেন তাঁরা পুরনো নোট দিতে চাইছেন। প্রথম দিকে নিয়েছিলাম। ক্যান্টিন বন্ধ রেখে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে বদল করেছি। এখন তাও বন্ধ। ফলে খদ্দেরও কমে গিয়েছে। এ ভাবে বেশিদিন চললে মারা পড়ব।’’
পল্টুবাবুর স্ত্রী আলো দাসেরও আদালত চত্বরে হোটেল রয়েছে। তিনিও জানালেন, ‘‘গত একমাস ধরে পুরনো টাকার চক্করে বিক্রিবাটা আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। তার উপর নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে চালু হওয়ায় খুচরো দেওয়া যাচ্ছে না। তাতে খদ্দের হারাতে হচ্ছে। নোট বাতিলের জেরে মহাজনের কাছে প্রচুর ধারও হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায় ক্ষতির আঁচ লেগেছে সংসারেও।’’