—প্রতীকী ছবি
প্রায় ১১ দিন আগে নিখোঁজ এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হল এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার নাজিরগঞ্জে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃতার আত্মীয় ও এলাকার মানুষ। পাশাপাশি, স্থানীয় সত্যেন বসু রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোদরার আজাদনগর এলাকার বাসিন্দা কলেজছাত্রী রুকসার খাতুন (২২) গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ছাত্রীটি খাতা কেনার জন্য বেরিয়েছিলেন। তার পরে আর ফেরেননি। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু নানা ভাবে তল্লাশি চালিয়েও ওই তরুণীর সন্ধান মেলেনি। শনিবার এলাকা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কচুরিপানা ভর্তি একটি পুকুরে রুকসারের দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।
পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে পুকুরে ডুবে মারা গিয়েছেন তরুণী।
কিন্তু কী ভাবে তিনি ডুবে গেলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। মৃতার পরিবারের এক আত্মীয় জানান, ৫ তারিখ রুকসার নিখোঁজ হওয়ার পরে তাঁরা থানায় গিয়ে বার বার মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু পুলিশ গা করেনি। ওই আত্মীয় বলেন, ‘‘কারও বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। পুলিশকে বলেছি, তদন্ত করে সত্যিটা বার করতে। রুকসারের যদি ডুবে মৃত্যুই হবে, সে ক্ষেত্রে পুকুরে পড়ার এত দিন পরে কেন তাঁর দেহ ভেসে উঠল, তা বোধগম্য হচ্ছে না।’’ পাশাপাশি বাড়ি থেকে অত দূরে একটি পুকুরে কী ভাবে ওই তরুণীর দেহ ভেসে উঠল, তাঁকে খুন করে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে কি না— সেই সব প্রশ্নও তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা।