ঘোষণা: ঘূর্ণিঝড়ের আগে রিভার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের তরফে সতর্কতামূলক ঘোষণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার, বাবুঘাটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
কলকাতার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আমপানের মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে হাওড়া জেলা প্রশাসনও। হাওড়া পুরসভা ও হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফে এর জন্য খোলা হয়েছে দু’টি আলাদা কন্ট্রোল রুম। হাওড়া পুরসভার কন্ট্রোল রুম (২৬৩৭-১৭৩৫) খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বরো অফিসেই প্রস্তুত থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ঝড়ের দাপটে বাড়ি, গাছ বা রাস্তার হোর্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করা যাবে। খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
এ ছাড়া, জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে তা সরানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গ্যাস-কাটার রাখা হয়েছে। জমা জল বার করতে হাওড়া পুরসভার তরফে অতিরিক্ত পাম্পের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি হাওড়া শহরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরও। মজুত রাখা হয়েছে খাবার। হাওড়া পুরসভার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (২৬৪১-৩৩৯৩)।
ঝড়ের তীব্রতায় লঞ্চগুলির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। এ দিন ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জন্য কলকাতা ও হাওড়ায় গঙ্গার দু’পারে বাঁধা প্রায় ৩০টি লঞ্চকে আরও ভাল ভাবে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছে। যাতে ঝড়ের দাপটে বা গঙ্গার ঢেউয়ে সেগুলির বাঁধন ছিঁড়ে না যায়।
কয়েক দিন আগেই বানের তোড়ে দড়ি ছিঁড়ে ডুবে গিয়েছিল একটি লঞ্চ। সেই কারণেই আমপানকে ঘিরে কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি সতর্ক। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রত্যেককে বিভিন্ন ঘাটে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।