দিন কয়েক ধরে গ্রামীণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন সরকারি অফিসে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায় সব কাজ। কারণ লিঙ্ক ছিল না। বিএসএনএলের কেবল লাইনের কিছু অংশ কাটা রয়েছে বলে দেখতে পান সংস্থার কর্মীরা। বুধবার রাত থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় বিএসএনএলের টেলিফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা জগৎবল্লভপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে দু’টি সাব ডিভিশন রয়েছে। একটি জগৎবল্লভপুর অন্যটি বাগনান। এর মধ্যে বাগনান সাব ডিভিশনের অধীনে ২৫টি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আমতা, বাগনান, জয়পুর এবং শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ দেওয়া হয়। দিন কয়েক ধরে এই এলাকাগুলিতেই প্রধানত সমস্যা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাগনানের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা যায়, অফিসার এবং কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন। সব কম্পিউটার বন্ধ। টাকা তোলা, জমা দেওয়া কিছুই হচ্ছে না। কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিএসএনএল সূত্রে খবর, বাগনান সাব ডিভিশনে সংযোগ দেওয়ার জন্য জগৎবল্লভপুর থেকে একটি প্রধান অপটিক্যাল ফাইবার কেবল লাইন পাতা আছে। রবিবার রাতে জগৎবল্লভপুরের কাছে ওই কেবল লাইনটির কিছু অংশ কেটে যায়। তারপর থেকেই ব্রডব্যান্ড, মোবাইল এবং ল্যান্ডলাইন পরিষেবা প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, জীবনবিমা-সহ প্রায় সব সরকারি অফিসে ইন্টারনেট বসে যায়। বিএসএনএলের টেলিফোন বিল জমা নেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নথি কম্পিউটারে ‘আপলোড’ করার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বিএসএনএলের জগৎবল্লভপুর ডিভিশনের এক কর্তা জানান, কেটে যাওয়া কেবল দ্রুত মেরামতির চেষ্টা চলছে। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।