‘পুলিশ’ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক যুবকের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে হাওড়ার ডোমজুড়ের শলপ মণ্ডলপাড়া ঘটনা। নিহতের নাম অমিত ঘোষাল (৩০)। তার বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, অমিতের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরাই তাকে খুন করেছে। পালিয়ে বেড়ালেও ওই রাতে যে সে বাড়ি ফিরেছিল, সে কথা জানতে পেরে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই তারা হানা দেয় অমিতের বাড়িতে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে বলে হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের কর্তারা জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত দেড়টা নাগাদ তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চড়ে অমিতের বাড়ির সামনে হাজির হয়। নিজেদের ‘পুলিশ’ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য অমিতকে বলে তারা। অমিতের স্ত্রী দরজা খুলে দেন। দুষ্কৃতীদের এক জনের হাতে ছিল রিভলভার। মাথা হেলমেটে এবং মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। অমিত খাটে মশারির ভিতরে শুয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তার নাম ধরে ডাকে। তাদের দেখে অমিত বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে খাটের নীচে ঢুকে পড়ে। তাকে সেখান থেকে টেনে বের করে হেলমেটধারী দুষ্কৃতী গুলি চালিয়ে খুন করে। তারপরে দুষ্কৃতীরা মোটরবাইক চড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অমিতের দেহ উদ্ধার করে। তার স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অমিতের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, কাউকেই তিনি চিনতে পারেননি।
পুলিশের অনুমান, অমিত দুষ্কৃতীদের চিনত। পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য ঘাতক হেলমেট পরেছিল এবং রুমালে মুখ ঢেকে এসেছিল। অমিতকে যে পুলিশ খুঁজছিল সে কথা জানত হামলাকারীরা। সেই কারণেই তারা ‘পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে অমিতের বাড়িতে ঢোকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, যে দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে অমিত অপরাধমুলক কাজকর্ম করত, সেই দল থেকে সম্প্রতি সে বেরিয়ে আসে। এর পরে একাই এলাকায় তোলাবাজি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজ করত। ফলে, পুরনো দলের সঙ্গে তার বিবাদ বাধে। তারই জেরে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।