ওয়েলিংটনে তিনটি আসনে জয়ী বাম, পাঁচে আইএনটিটিইউসি

চটকল নির্বাচনে জিতল বামেরা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেমে গেল পঞ্চম স্থানে। এমনই ফল হয়েছে শুক্রবার রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলের প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের প্রতিনিধি নির্বাচনে। একটি আসন পেয়েছে বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
Share:

চটকল নির্বাচনে জিতল বামেরা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেমে গেল পঞ্চম স্থানে। এমনই ফল হয়েছে শুক্রবার রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলের প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের প্রতিনিধি নির্বাচনে। একটি আসন পেয়েছে বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

ওই চটকলে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সেখানে এআইটিইউসি, সিটু এবং আইএনটিইউসি হল স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন। এছাড়াও আইএনটিটিইউসি এবং বিএমএস নির্বাচনে লড়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোট হয়। ওই দিনই গণনা হয়।

প্রশাসন ও চটকল সূত্রের খবর, চার আসনের মধ্যে দু’টি পেয়েছে সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি। একটি করে আসন পায় সিটু ও বিএমএস। সর্বোচ্চ ৯০৩টি ভোট পেয়েছেন এআইটিইউসি-র ভোলা কর্মকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪৮টি ভোট পেয়েছেন সিআইটিইউ-র জাফর আহমেদ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬০৩টি ভোট পেয়েছেন বিএমএসের সঞ্জীব সাউ। আইএনটিটিইউসির চার প্রার্থীর মধ্যে যিনি সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছেন তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৭৮। তাদের বাকি তিন প্রার্থীর ফল আরও খারাপ।

Advertisement

স্থানীয় পুরসভা থেকে, বিধানসভা, লোকসভা— সবই তৃণমূলের দখলে। ওয়েলিংটনের নির্বাচনে জিততে পুরসভা এবং শহর তৃণমূলের নেতারা প্রচারে নেমেছিলেন। তা সত্ত্বেও এমন শোচনীয় ফলে শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ফল। সিপিআইয়ের রিষড়ার উপ-পুরপ্রধান জাহিদ হাসান খানের দাবি, ‘‘ওখানে আমাদের স্বীকৃত সংগঠন থাকলে এই ফল হত না। সংগঠন তৈরির জন্য দলের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’’ সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় শ্রমিক নেতা দেবাশিস দত্তের দাবি, ‘‘এই রায় ওয়েলিংটনের সাধারণ শ্রমিকদের ভাবনার প্রতিফলন।’’

ওই ট্রাস্টের গত নির্বাচনে আইএনটিইউসি দু’টি, এআইটিইউসি একটি এবং নির্দল একটি আসন পেয়েছিল। ২০১৫ সালের জুন মাসে এই চটকলেই এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তখন তিনি শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চটকলে এ বার আইএনটিইউসিকেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।

রিষড়ার কংগ্রেস নেতা সাবির আলি বলেন, ‘‘সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই এই হাল।’’ জেলা আইএনটিইউসি নেতা অজিত চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আইএনটিটিইউসি ভোট কেটে আমাদের যাত্রাভঙ্গ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement