বাকি রইল পুরশুড়া। সোমবার থেকে হুগলির খানাকুলের ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী-সমর্থকদেরও ঘরে ফেরানোর পালা শুরু হয়েছে। ওই দিন কিশোরপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার ঘাসুয়া, মহিষগোট, চুয়াডাঙা এবং বাজারপাড়ার ৯ জনকে পুলিশি নিরাপত্তায় ঘরে ফেরানো হয়। মঙ্গলবার ফেরানো হল বালিপুর এবং রামমোহনের সারদা গ্রামের মোট ৯ জনকে। ঘরছাড়াদের ফেরানোর পর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চের ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও ঘরছাড়াদের কয়েকজন তৃণমূলের হুমকি-সহ নানা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ফের ঘর ছেড়েছেন। গত ২১ মার্চ পুলিশি নিরাপত্তায় গোঘাটের বিভিন্ন গ্রামের ঘরছাড়াদের ফেরানোর পর বহড়াশোল গ্রামের বাদল ভুঁইয়া এবং আখতার আলির নামে দুই সক্রিয় সিপিএম কর্মীর বাড়ি চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে তৃণমূলের লোকজন ফের ঘরছাড়া করে বলে অভিযোগ ছিল। পুলিশ ওই ঘটনায় তৃণমূলের আজিজুল খাঁ ওরফে ছোটখোকা, জুলফিকার চৌধুরী, মইনাল খাঁ, কুদরত মল্লিক ও সানোয়ার মল্লিক নামে ৫ জনকে গ্রেফতারও করে। খানাকুলে মারধরের ঘটনা না ঘটলেও অভিযোগ, সোমবার বিকালে ঘরে ফেরানো কিশোরপুর ২ পঞ্চায়েতের বাজারপাড়ায় শেখ নজরুল ইসলামকে সন্ধ্যায় হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। পরে রাতে তাঁদের খড়ের গাদায় আগুনও লাগিয়ে দেয় তারা। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।