আগামী রবিবার সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশ।
ব্রিগেড সমাবেশের জন্য বাস মিলছে না শাসকদলের বাধায়, হুগলিতে এমনই অভিযোগ তুলল সিপিএম। শাসকদল অভিযোগ মানেনি।
আগামী রবিবার সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশ। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, বহু মানুষ ওই সমাবেশে যেতে চান। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নির্দেশে তাঁদের বাস ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
অভিযোগ, সমস্যা বেশি জেলাসদর চুঁচুড়ায়। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়া ১৭, ১৮, ২ এবং ২০ নম্বর রুটের বাস-মালিকেরা আগে আশ্বাস দিয়েও এখন মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইছেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ। জেলা সিপিএম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘শুধু চুঁচুড়া নয়, জেলার বাকি তিনটি মহকুমা থেকেই এই সমস্যার কথা শুনছি। চালক-কন্ডাক্টররা ব্রিগেডে বাস নিয়ে যেতে রাজি। কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা ওঁদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। তাঁর দাবি, ‘‘কে কোথায় বাস ভাড়া করছেন জানি না। আমাদের ছেলেরা কেন আটকাতে যাবে?’’ চুঁচুড়ায় আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত বাসকর্মী সংগঠনের নেতা ভলেন্দু ব্রহ্মেরও দাবি, ‘‘বাসের ব্যবসায় আমরা না বলতে যাব কেন? এমনিতেই বাস-শিল্পে মন্দা। ভাড়া করা হলে দু’টো পয়সার দেখা মেলে। ওদের ভাড়ায় পোষালে যাবে, না হলে যাবে না। আমাদের নিষেধ করার থাকলে কি বলতাম? নোটিস সেঁটেই বারণ করে দিতাম।’’ তবে, চুঁচুড়ারই এক বাস-মালিক বলেন, ‘‘শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রবিবার ব্রিগেডে বাস নিয়ে বাসকর্মীরা যাবেন না। গেলে তাঁদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। যেচে ঝামেলায় পড়তে একদিন কলকাতায় য়েতে কে চায়?’’ এই অবস্থায় সিপিএম নেতৃত্ব বিকল্প ভাবনাও শুরু করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত বাস না-পেলে ট্রেন এবং ট্রাক-ম্যাটাডর বা অন্য গাড়ির উপরে নির্ভর করতে হবে।