এক জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের। অন্য জায়গায় শাসকদলেরই একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল অপরগোষ্ঠী। ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই’ এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রভোট বাতিল করে নতুন ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। দু’টি মামলারই শুনানি হল সোমবার। একটি মামলাতেও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। ফলে আজ, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর কলেজে ভোটগ্রহণ হবে। রিষড়ার বিধানচন্দ্র রায় কলেজে অবশ্য শুধু টিএমসিপি মনোনয়ন জমা করেছে। এখানে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে।
২০০৩ সালে ছাত্র সংসদ গঠিত হওয়ার সময় থেকেই শ্রীরামপুর গার্লস কলেজে ক্ষমতা ছিল ডিএসওর হাতে। তাদের অভিযোগ, গায়ের জোরে ক্ষমতা কেড়ে নিতে উঠেপড়ে লাগে টিএমসিপি। এই পরিস্থিতিতে শ্রীরামপুর আদালতের দ্বিতীয় দেওয়ানি বিচারক (জুনিয়র ডিভিশন) সোহন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করে ডিএসও। এ দিন সেই মামলার শুনানি হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশকে নিষ্ক্রীয় রেখে ওখানে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুধু শুধু মার খেতে আমাদের মেয়েরা ওখানে যাবে না।’’
আর রিষড়ার কলেজটিতে টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠী ওই আদালতেই মামলা করে। মামলাকারী ছাত্রদের দাবি, তৃণমূলের একটি অংশের নেতাদের মদতে এক টিএমসিপি নেতা একতরফা ভাবে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন। ছাত্র সংসদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহিত যাদব মনোনয়ন তুলতে পারেননি বলে অভিযোগ। আদালত অবশ্য এই মামলাতেও স্থগিতাদেশ দেয়নি। মোহিত জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দু’টি কলেজের ক্ষেত্রেই কোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। গণতন্ত্রের জয় হল।’’