ছবি: সংগৃহীত।
যাঁদের ডিজ়িটাল রেশন কার্ড নেই বা তার পরিবর্তে কুপন পাননি, তাঁরা রেশন পাচ্ছিলেন না বলে নানা জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছিল। সমস্যা মেটাতে গত ১২ মে ‘স্পেশাল কুপন’ ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এ বার নয়া ব্যবস্থায় হুগলিতেও চালু হচ্ছে রেশন দেওয়া।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নতুন ডিজ়িটাল রেশন কার্ড নেই বা আবেদন করেননি, এমনকি কুপনও পাননি, তাঁরা পুরনো রেশন কার্ড দেখিয়ে ব্লক অফিস বা পুরসভা আবেদন করলেই স্পেশাল কুপন পাবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি জেলাশাসকের নিয়ন্ত্রণে চলবে। আবেদনের সময় পুরনো রেশন কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের ফোটোকপি জমা দিতে হবে। সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। আবেদনের তিন দিনের মধ্যে গ্রাহককে ওই ‘স্পেশাল কুপন’ দেওয়া হবে।
এই বিশেষ কুপনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক চলতি মে মাস থেকে ৬ মাসের জন্য বিনা পয়সায় ৫ কেজি করে চাল পাবেন অন্যান্য শ্রেণির গ্রাহকদের মতোই। এ কথা জানিয়ে জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই বিশেষ কুপন করোনা বিপর্যয় সময়ের জন্যই। বিশেষ কুপনটি রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ শ্রেণিভুক্ত কার্ডের সমতুল্য হিসাবে গণ্য হবে।”
নয়া ব্যবস্থায় সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে বলে আশা করেছেন ব্লক এবং খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। একই আশা বঞ্চিত উপভোক্তাদেরও। গত ৪ মে গোঘাট-২ ব্লকে এ জন্য বিক্ষোভে শামিল হওয়া হাজিপুর পঞ্চায়েতের পাবা গ্রামের ভুটভুটি-চালক অরুণ দাস বলেন, “কোনও মতে পুরনো সাদা রেশন কার্ডটা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছি। এ বার ৫ কেজি করে চালটা অন্তত পাব। সংসারে তিন জন আছি। চার বছর আগে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছি। এখনও কার্ড হয়নি। ফলে, নানা সরকারি প্রকল্পে আবেদনও করতে পারছি না। কার্ড যাতে পাই সেই ব্যবস্থাও করুক সরকার।”
লকডাউন পর্বে এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে জেলার মোট ১২০০ রেশন দোকান খোলা হয়। উপভোক্তাপিছু বিনা পয়সায় ২ কেজি করে চাল, ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম আটা বা তিন কেজি গম বরাদ্দ হয়। তখন থেকেই অনেকে ডিজ়িটাল রেশন কার্ড না থাকায় খাদ্যসামগ্রী মিলছে না বলে অভিযোগ তুলতে থাকেন। তা জানতে পেরে যাঁরা রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন কিংবা অনলাইনে নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলেও কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের রেশন তুলতে কুপন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যথাযথ নথি দেখাতে না-পারায় সেই কুপনও অনেকে পাননি।