প্রতীকী ছবি
করোনা আবহে দূরত্ববিধি মেনে প্রতিমা দর্শন আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে, হুগলিতে পারস্পরিক দূরত্ব রেখে মণ্ডপে ঢোকায় দর্শনার্থীদের বাধ্য করাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বার উৎসবের সময় চন্দননগর কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশ বাড়তি দেড় হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার ময়দানে নামাবে। তাঁদের মোতায়েন করা হবে জেলার ৩০টি থানা এলাকায়। সঙ্গে থাকবেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের জওয়ানরাও।
করোনা-পরিস্থিতি যাতে আরও জটিল না হয়, তার জন্য পুজোয় ভিড় না-করার কথা বারবার বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেই পরামর্শ মানুষ কতটা মানবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দুর্গাপুজো এবং পরবর্তী উৎসবের মরসুমে ভিড় ঠেকাতে বাড়তি সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রত্যের বছর এই সময় ময়দানে বাড়তি সিভিক ভলান্টিয়ার নামায় পুলিশ। এ বার করোনা আবহের কারণে গত বছরগুলির তুলনায় জেলায় প্রায় আড়াইশো সিভিক ভলান্টিয়ার বেশি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মার্চ থেকে একটানা লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি ছিল মানুষ। তারপরেও যাতায়াতে নানা বিধিনিষেধ বলবৎ ছিল অনেক জায়গায়। আমাদের আশঙ্কা, উৎসবের দিনগুলিতে রাস্তায় ভিড় হবে।’’ বাড়তি সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা ছাড়াও ভিড় ঠেকাতে আরও কিছু পদক্ষেপ করবে পুলিশ। মণ্ডপের সামনে দড়ির ‘ড্রপ গেট’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।
চন্দননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত সাতটি থানায় গুরুত্বপূর্ণ পুজো কমিটিরগুলির মণ্ডপের সামনে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কমিশনারেট এলাকায় প্রায় সাড়ে আটশো সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে পুজো এবং পরবর্তী ছ’মাসে। তাঁদের মধ্যে ৫০০ জনকে নেওয়া হয়েছে পুজোর দশ দিনের জন্য। বিসর্জনের সময় গঙ্গার ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবেন সিভিক ভলান্টিয়ার।
হুগলি জেলার ( গ্রামীণ) ২৩টি থানায় এ বার উৎসবের মরসুমে ৭০০ ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই প্রতিটি পুজো কমিটিকে দূরত্ব-বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ভিড় এড়াতে পুলিশের টহল থাকবে। জেলার ৫০ কিলোমিটার হাইওয়েতে যানজট যাতে না হয়, তার জন্য নজরদারি চালাবে পুলিশ।