প্রতীকী ছবি।
পুলিশ থেকে স্থানীয় সংগঠন, বারবার করে সচেতনতার প্রচার করেও ফল মিলছিল না। দূরত্ব-বিধি শিকেয় তুলে প্রতিদিন সকাল থেকেই কার্যত ভিড়ে ঠাসা থাকছিল বাজার এলাকা। কিন্তু কোভিড-আবহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, এই আশঙ্কায় ফের বালি এলাকার বাজার, দোকান খোলা রাখার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিল পুলিশ।
ব্যবসায়ী সমিতিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজ, বুধবার থেকে বালি থানা এলাকার দু’টি বাজার-সহ সমস্ত দোকান শুধু এক বেলা খোলা থাকবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত (দিনে পাঁচ ঘণ্টা) চলবে বেচাকেনা। বিকেলে ওষুধের দোকান ছাড়া আর অন্য কোনও দোকান খোলা থাকবে না।
বালির ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডেই রয়েছে দু’টি বড় বাজার। মূলত আনাজ, মাছ-মাংস বিক্রি হয় সেই বাজারে। বালির হপ্তা বাজার ও বালি পুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে মুদির দোকান থেকে শুরু করে জামাকাপড়-সহ অন্য দোকানপাট। লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার পরে খুলে দেওয়া হয়েছিল ওই দু’টি বাজার-সহ অন্য দোকানপাট। দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে ওই বাজারগুলিতে ক্রেতা ঢোকানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। বালি পুর বাজারের প্রবেশপথের সামনে থার্মাল স্ক্রিনিং করার পাশাপাশি, হাতে জীবাণুনাশক দিয়ে ক্রেতাদের ঢোকানো হচ্ছিল। ঢোকা-বেরোনোর জন্য আলাদা আলাদা দরজাও চিহ্নিত করা হয়েছিল।
কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, ততই দূরত্ব-বিধির তোয়াক্কা না করে বাজার ও রাস্তার দোকানে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থায়ী বাজার খুলে যাওয়ার পরেও রাস্তায় ভ্যানরিকশা রেখে জিনিসপত্র কেনাবেচা চলছে। ফলে তাতে রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। বাইরে বেরোনো লোকজনের একাংশ মাস্ক ব্যবহারও করছিলেন না বলে অভিযোগ।
তবে বালিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি না থাকায় ওই দু’টি ওয়ার্ড এখনও পর্যন্ত হাওড়া শহরের নতুন কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকায় নেই। কিন্তু আগামী দিনে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।