চণ্ডীতলার সেই কারখানায় মেশিন।
তিন মাস পরে অবশেষে বৃহস্পতিবার চণ্ডীতলার শীতলাতলার সেই শিল্পোদ্যোগী নিজের কারখানায় ৭২ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কঋণে কেনা যন্ত্রটি ঢোকাতে পারলেন বিনা বাধায়।
বড়সড় যন্ত্রটি ঢোকানো হলে রাস্তার ক্ষতি হবে, এই আশঙ্কায় পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের এক নেতা রাস্তা সারানোর সমস্ত আর্থিক দায় গুরুপদ ঘোষ নামে ওই শিল্পোদ্যোগীকে নিতে হবে বলে প্রথমে দাবি তুলেছিলেন। এ নিয়ে জলঘোলা হয়। ফলে যন্ত্রটিকে ঢোকাতে পারছিলেন না গুরুপদ। যন্ত্রটি বেশ কিছুদিন গাড়িতেই রেখে দেওয়ার পরে গুদাম ভাড়া করেছিলেন। দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। শেষমেশ ওই শিল্পোদ্যোগী শাসকদলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও শরণাপন্ন হন। তাতেই জট কাটে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই নানা ধরনের মানুষ থাকেন। আমাদের দলেও আছেন। তবে যিনি যে দায়িত্বেই থাকুন, দিনের শেষে কিন্তু তাঁর কাজের পরিধি নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। না হলে মানুষকে আমরা ঠিক ভাবে পরিষেবা দিতে পারব না। অযথা তাঁরা হয়রানির শিকার হবেন। এটা কাম্য নয়।’’