শিশুদের স্কুলের জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ট্রাস্টির বিরুদ্ধে। শুক্রবার ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে শ্রীরামপুরের রাজা কিশোরীলাল গোস্বামী স্ট্রিটে। বেসরকারি ওই বিদ্যালয়ের তরফে সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টকে চিঠি পাঠানো হয়।
সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর রাজবাড়ির একটি অংশে প্রায় আড়াই দশক ধরে ভাড়া নিয়ে স্কুলটি চলছে। ভবনটি দেখাশোনার জন্য ট্রাস্ট রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে শিশুশ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। প্রায় ৯০ জন ছাত্রছাত্রী আছে। এক মাস গরমের ছুটির পরে শুক্রবার স্কুল খোলে। স্কুলে এসে দেখা যায়, জলের লাইন কাটা। জল না পেয়ে খুদেরা সমস্যায় পড়ে। এর পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জলের সংযোগ জুড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
খুদে পড়ুয়ারা স্কুলে এসে জল পাচ্ছে না, এই খবর ছড়াতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্কুল চলার কথা। কিন্তু জল না থাকায় তার সময়ের আগে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল কমিটির সম্পাদক সুমিত মজুমদার বলেন, ‘‘কেন জলের লাইন কাটা হল, বুঝতে পারছি না। জল না থাকায় তড়িঘড়ি স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে।’’
সুমিতবাবু জানান, ট্রাস্টির কারও সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেননি। শেষে ট্রাস্টের আইনজীবী কৌশিক চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জলের সংযোগ জুড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর পরে অবশ্য সংযোগ জুড়ে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ, ভবনটির ওই অংশে প্রোমোটারির চেষ্টা চলছে। স্থানীয় নির্দল কাউন্সিলর নিতাই গুহর কথায়, ‘‘আসলে ওখানে স্কুল চলুক, এটা অনেকে চান না। তবে প্রোমোটারির চক্রান্ত হলে আমরাও তা মেনে নেব না।’’
জল সংযোগ কেটে দেওয়া বা প্রোমোটিংয়ের চেষ্টা— কোনও অভিযোগই কৌশিকবাবু মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘এক মাস স্কুল ছুটি ছিল। কোনও কারণে কলে জল আসছিল না। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলার পরেই মিস্ত্রি পাঠিয়ে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ ট্রাস্টকে মানেন না। এখনও ৮ মাসের ভাড়া বাকি।’’ তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহ্যশালী ভবনটি সংস্কারে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রোমোটিংয়ের চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা।’’