সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ খানাকুলে, জখম ৬, ধৃত ৪

সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে লোকের ভিড় নিয়ে চায়ের দোকানের খদ্দেরদের আলোচনার জেরে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল খানাকুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:২৬
Share:

সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে লোকের ভিড় নিয়ে চায়ের দোকানের খদ্দেরদের আলোচনার জেরে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল খানাকুলে।

Advertisement

শনিবার রাত ৮টা নাগাদ খানাকুলের রামপ্রসাদ বাজারে, বাঁশ এবং লাঠি নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৬ জন জখম হন। আহতদের ৪ জনকে খানাকুল গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’পক্ষেরই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের রবিবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক বন্ধ থাকার পর পুলিশি নিরাপত্তায় খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের রামপ্রসাদ বাজারে সিপিএমের বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়টি খোলা হয় গত ২১ মার্চ। তারপর থেকেই সেখানে ক্রমশ ভিড় বাড়ছিল গ্রামবাসীর। ঘটনার রাতে খানাকুলের রামপ্রসাদ বাজারে একটি চায়ের দোকানে এ সব নিয়েই খদ্দেরদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। দোকানের বাইরে এবং ভিতরে দুই দলেরই কিছু কর্মী চা খাচ্ছিলেন। এক সিপিএম কর্মী ওই আলোচনায় সুর মিলিয়ে লোক বাড়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করতেই সেখানে থাকা তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে যায়। দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে দুই দলীয় কার্যালয় থেকে আরও লোক বাঁশ ও লাঠি নিয়ে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের ৬ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের মিন্টু শেখ, আব্বাস শেখ এবং হানিফ মল্লিককে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই জায়গায় ভর্তি করা হয় সিপিএমের সরফরাজ খানকে।

Advertisement

সিপিএমের বাকি দুই আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় দুই দলের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা হায়দার আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএমের সিরাজুল মুন্সী, শেখ খোকন এবং নিজারুন রহমানকে।

তৃণমূল অঞ্চল নেতা শেখ ইলিয়াসের অভিযোগ, “দোকানে চা খেতে যাওয়া আমাদের কর্মীদের বিনা প্ররোচনায় সিপিএম মারধর করেছে। দলীয় কার্যালয় খুলেই ফের আগের মতো সন্ত্রাস শুরু করেছে ওরা।”

খানাকুলের সিপিএম জোনাল নেতা ভজহরি ভুঁইয়ার দাবি, “আমাদের দলীয় কার্যালয়ে মানুষে ভিড় দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে আর মানুষ নেই। তাই ওরা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement