দু’টি বাসের রেষারেষিতে গুরুতর জখম হলেন এক প্রৌঢ়। বৃহস্পতিবার, মুখরাম কানোরিয়া রোডের ঘটনা। আহতের নাম রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাসের জানলার পাশে বসেছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। ওভারটেক করতে যাওয়া অন্য একটি বাসের ধাক্কায় তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে ঝুলে পড়ে। রবীন্দ্রনাথবাবু হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ একটি বাসকে আটক করলেও অন্যটিকে ধরা যায়নি।
পুলিশ জানায়, মন্দিরতলা থেকে ধর্মতলা রুটের মিনিবাসে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। বসেছিলেন বাসের মাঝামাঝি, জানলার ধারে। তিনি জানান, যাত্রী তুলে বাসটি যখন হাওড়া সেতুর দিকে এগোচ্ছিল তখন দানেশ শেখ লেন-ধর্মতলা রুটের একটি বাস তাঁদের বাসটিকে ওভারটেক করতে যায়। তখনই ডান হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব করে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। দেখেন ডান হাতের কব্জি কেটে প্রায় ঝুলছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে হাত।
এই দৃশ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্য যাত্রীরা। তাঁদের চিৎকারে বাস থামান চালক। ততক্ষণে অন্য বাসটি পালিয়ে যায়। হাওড়া স্টেশন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ এসে রবীন্দ্রনাথবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগে স্ট্রেচারে শুয়ে ওই প্রৌঢ় বলেন, ‘‘অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম। ডান হাতের কব্জি জানলা দিয়ে সামান্য বেরিয়েছিল। তখনই এই ঘটনা।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনাথবাবুর কব্জি জোড়া লাগাতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়িতে।
বাসের রেষারেষিতে জানলার পাশে বসে থাকা যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে এক যাত্রীর হাত ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবু রাশ টানা যায়নি বাসের রেষারেষিতে। এ দিনের ঘটনা ফের সেটাই প্রমাণ করে দিল।