ভেঙে পড়ছে ডাল, মরা গাছ কাটার দাবি

সবুজ হারিয়ে গিয়েছে কবেই। যে সব গাছ এক সময়ে ছায়া দিত, এখন তারাই সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্ক! কারণ, যে কোনও মুহূর্তে শুকনো ডালপালা ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মগরা থেকে বৈঁচি পর্যন্ত জি টি রোডের দু’ধারে ১৮ কিলোমিটার জুড়ে অন্তত ১০টি এমন মৃত শিরিষ, বয়রার মতো গাছ রয়েছে।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

জীর্ণ: রাস্তার ধারের এই মরা গাছই কাটার দাবি তুলছেন স্থানীয়রা।—নিজস্ব চিত্র

সবুজ হারিয়ে গিয়েছে কবেই। যে সব গাছ এক সময়ে ছায়া দিত, এখন তারাই সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্ক!

Advertisement

কারণ, যে কোনও মুহূর্তে শুকনো ডালপালা ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মগরা থেকে বৈঁচি পর্যন্ত জি টি রোডের দু’ধারে ১৮ কিলোমিটার জুড়ে অন্তত ১০টি এমন মৃত শিরিষ, বয়রার মতো গাছ রয়েছে। দিন দুয়েক আগেই একটি মরা গাছের বড় ডাল ভেঙে পড়েছিল রাস্তায়। কেউ জখম হননি। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির এই মরসুমে এমন দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা অবিলম্বে ওই সব গাছ কাটার দাবি তুলেছেন।

রাস্তাটিতে সব সময়েই যানবাহনের ভিড় লেগে থাকে। যাতায়াত করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। দু’ধারে রয়েছে কিছু দোকানপাটও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মরা গাছগুলিকে কেটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। কেউ কেউ মনে করছেন, ওই সব প্রাচীন গাছ পরিকল্পনামাফিক অসাধু ব্যবসায়ীরা ওষুধ দিয়ে মেরে ফেলছেন।

Advertisement

সুকুর আলি নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘মরা গাছগুলি কাটার জন্য আমরা গত বছর পূর্ত (সড়ক) দফতরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই হল না।’’ সামনেই বর্ষা। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

পূর্ত (সড়ক) দফতরের চন্দননগর ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার আশিস দত্ত বলেন, ‘‘ওই মরা গাছগুলিকে নিয়ে মার্চ মাসে বন দফতরে একটি তালিকা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় অনুমতি মিললে গাছগুলি নিলাম করে বিক্রি করব।’’ বন দফতরের হুগলির রেঞ্জ অফিসার রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে আবেদন করলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement