উপরে পিপুলপাতি মোড়ের কাছে ধস।
টানা বৃষ্টিতে চুঁচুড়ায় দু’জায়গায় রাস্তায় ধস নামায় সকাল থেকে নাকাল হলেন সাদারণ মানুষ। বিঘ্নিত হল যান চলাচল। ধয়ে আটকে পড়ে একটি পাথরকুচি বোঝাই ট্রাক।
এদিন ভোর ৬টা নাগাদ একটি পাথরকুচি বোঝাই বড় ট্রাক হুগলির মোড় থেকে পিপুলপাতি হয়ে মল্লিকবাটীর দিকে যাওয়ার সময় পিপুলপাতি মোড়ের কাছেই গঙ্গা অ্যাকশন প্রকল্পে রাস্তায় হঠাৎ ধস নামায় আটকে যায়। সাত থেকে আট ফুট গভীরতায় ধস নামায় ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সদর মহকুমাশাসক সুবীর সরকার। আসেন পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়ও। ধস মেরামতি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ফাঁকেই বিকেল ৪টডি নাগাদ মহসিন কলেজের কাছে কলেজ রোডে ফের ধস নামে। চার থেকে পাঁচ ফুট গভীর খাদের সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার খাতিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে ওই রাস্তাতেও যান ও লোক চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। বিপদ এড়াতে ধস কবলিত এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, ডাচ আমলের তৈরি এলাকার নিকাশি নালাগুলি সংস্কারের অভাবে মজে গিয়ে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ফলে যে সব এলাকায় নালা রয়েছে সেখানে ধস নেমে বিপদ তৈরি হচ্ছে।
মহসিন কলেজের কাছে।
পিপুলপাতির এলাকার বাসিন্দা ও মহাকুমাশাসক (সদর) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘গঙ্গা অ্যাকশন প্রকল্পের পাইপ এই রাস্তার নীচ দিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তা ও পাইপের মাঝে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ভারী যান চলাচলের ফলে তার উপরে চাপ পড়ায় ফাঁকা অংশে ধস নামছে। পুরসভার পক্ষ থেকে পূর্ত দফতরে জানানো হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব ধস মেরামত করে রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হবে।’’
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চুঁচুড়া প্রাচীন শহর। ডাচরা এখানকার নিকাশি নালাগুলি মাটির তলা দিয়ে করার ফলে সেগুলি সংস্কার করা যায় না। ফলে যে সব এলাকা দিয়ে এইসব নালা গিয়েছে সেই সকল এলাকাগুলি ধসের কবলে পড়ে। পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ধস মেরামত করা হবে।’’
ছবি: তাপস ঘোষ।