প্রতীকী ছবি
ছবিটা আজ, সোমবারও বদলাবে না বলে ধরেই নিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অফিসযাত্রীরা।
বাসের অভাবে ১ জুন থেকে অফিস যেতে নাকাল হচ্ছিলেন তাঁরা। তা-ও কমসংখ্যক কর্মীকেই অফিস যেতে হচ্ছিল। আজ, সোমবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ৭০ শংতাংশ কর্মীর হাজিরা দেওয়ার কথা। ফলে, আজ বাসের অভাবে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে সকলেই ধরে নিয়েছেন। এই অবস্থায় গ্রামীণ হাওড়ায় অনেক অফিসযাত্রী চার্টার্ড বাসেই ভরসা করছেন। আবার তিন-চার জনের দল গড়ে গাড়ি ভাড়াও করা হয়েছে।
জেলার বাস-মালিকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, লকডাউনে দীর্ঘদিন ধরে বাসগুলি পড়ে থাকায় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ফলে, বাস রাস্তায় নামার অনুপযুক্ত। বেশিরভাগ রুটের বাস সোমবার রাস্তায় নামতে পারবে না। জেলা বাস-মালিক সংগঠনের সভাপতি অসিত পণ্ডিত জানিয়েছেন, একমাত্র সাঁকরাইল থেকে আমতা রুটের বাস চলাচল করার অবস্থায় আছে। এই একটি মাত্র রুটেই সোমবার থেকে বাস চলবে। সে ক্ষেত্রে আমতা থেকে অফিসযাত্রীরা ধূলাগড়ি পর্যন্ত যেতে পারবেন। সেখান থেকে মুম্বই রোডে তাঁদের কলকাতাগামী সরকারি বাস ধরতে হবে।
পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে আঁচ করে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মী চার্টার্ড বাসের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। নবান্নের পূর্ত দফতরের কর্মী বাগনানের অজয় দলুই বলেন, ‘‘আমরা দু’টি চার্টার্ড বাস করেছি। অফিস নিয়ে যাবে, নিয়ে আসবে। যতদিন পর্যন্ত না ট্রেন চালু হচ্ছে অথবা বেসরকারি বাস পরিষেবা পুরোপুরি চালু হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এ ছাড়া আর উপায় দেখছি না।’’
হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, সোমবার থেকে বেসরকারি বাস চলার কথা। তা ছাড়া, প্রচুর সরকারি বাস চলবে। তবু ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার থেকে বেসরকারি বাস না-চললেও সরকারি বাস চালু ছিল। কিন্তু প্রায় সব ক্ষেত্রেই যাত্রীদের ঘেঁষাঘেঁষি করে অফিস যেতে দেখা গিয়েছে। দুই মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় কিছু দূরপাল্লার বাস চলে। তাতেও অনেকে ওঠেন। সেইসব বাসে অনেক বেশি ভাড়া নে ওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এমনিতে গ্রামীণ হাওড়ার অফিসযাত্রীদের বড় ভরসা ট্রেন। কিন্তু লোকাল ট্রেন কবে চলবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে, দুর্ভোগ থেকে আশু মুক্তির কোনও রাস্তা দেখছেন না অফিসযাত্রীরা।