আপাতত জট কাটল চন্দননগর পুরসভায়

দলের আশ্বাস, রণে ভঙ্গ বিদ্রোহীদের

এলাকার উন্নয়নের কাজে গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন চন্দননগর পুরসভার ১৬জন কাউন্সিলর। সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

আলোচনা: রবীন্দ্রভবন থেকে বৈঠক সেরে বেরোচ্ছেন কাউন্সিলররা। ছবি: তাপস ঘোষ

আপাতত জটিলতা কাটল!

Advertisement

রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ শুনে উৎসবের মরসুমে রণে ভঙ্গ দিলেন চন্দননগর পুরসভার বিদ্রোহী ১৬ কাউন্সিলর।

এলাকার উন্নয়নের কাজে গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন চন্দননগর পুরসভার ১৬জন কাউন্সিলর। সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও। তিনিই জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে নির্দেশ দেন ওই কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসার। এরপর মঙ্গলবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে দলের কাউন্সিলরদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই বিদ্রোহ থেকে কিছুটা পিছু হঠেছেন ওই কাউন্সিলররা। আপতত জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী ‘সহমতের ভিত্তিতে কাজ করা হবে’ এমন মুচলেকায় সইও করেছেন সকলে।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে পুরসভার কয়েকজন প্রবীণ কাউন্সিলর অভিযোগ তোলেন, এলাকার উন্নয়নের কাজে তাঁরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। যিনি যে ওর্য়াডের কাউন্সিলর সেখানকার কাজের বিষয়েও পুরোপুরি তাঁদের অন্ধকারে রাখা হচ্ছে, পুরসভার ফাইল সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের পাঠানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। এমনকী পুর কর্তৃপক্ষ ও দলীয় নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ।

এক গুচ্ছ অভিযোগের কথা জানিয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তীকে সম্প্রতি ১৬ জন কাউন্সিলর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। তার জেরে নজিরবিহীনভাবে গত মাসে ‘কোরাম’ (বিধিসম্মত কাউন্সিলরদের হাজিরা) না হওয়ার আশঙ্কায় বোর্ড মিটিং পর্যন্ত হয়নি। আইনি সঙ্কট এড়াতে বিকল্প হিসেবে একই দিনে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

দলের এক প্রবীণ কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ‘‘ ক্ষোভের কথা জানিয়ে এলাকার বিধায়ক, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তো আমাদের গুরুত্বই দিলেন না।’’ এই বিষয়ে অবশ্য ইন্দ্রনীলবাবুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এর আগে অবশ্য কলকাতায় ডেকে দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তারপরই এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবারের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে পুর কর্তৃপক্ষকে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের কাজের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘চন্দননগর পুরসভার কিছু ওয়ার্ডে বিধি ভেঙে নির্মাণ-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে দল ব্যবস্থা নেবে।’’

এই বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি কৃষিবিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরের কিছু ক্ষোভ ছিল। পুরোটাই আমরা আলোচনা করে মিটিয়েছি। কেউ দলের উপরে নন। সহমতের ভিত্তিতে সবাইকে কাজ করতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement