জয়ের আনন্দে।—নিজস্ব চিত্র।
এক দিনের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হুগলির বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলি ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের উদ্যোগে। রবিবার বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক মাঠে ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বান্ধব সমিতি। রানার্স কলকাতার রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং ক্লাব।
প্রথম ম্যাচে বান্ধব সমিতি হারায় নসিবপুর ইউনাইটেড কোচিং সেন্টারকে। বিএস পার্ককে হারায় রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং। এ দিন ফাইনালের শুরুতেই বান্ধব সমিতির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন স্বরূপ বিশ্বাস। তারপর দু’দলই গোলের একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা স্বরূপ। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট বিজয়ী দলেরই বীরেন মাণ্ডি। ওই দলের সুরজিৎ প্রামাণিক সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হয় প্রয়াত প্রভাসকুমার রায় নামাঙ্কিত ট্রফি। রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং পেল আরতিরানী রায় স্মৃতি রানার্স ট্রফি।
প্রতিযোগিতার পাশাপাশি চল্লিশোর্ধদের নিয়ে একটি প্রীতি ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছিল। ওই খেলায় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল বৈদ্যবাটি ফর্টি প্লাস। খেলাটি ১-১ গোলে শেষ হয়। প্রথমার্ধে রাজুগোপাল সাহা গোল করে বৈদ্যবাটি ফর্টি প্লাসকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের হয়ে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান চন্দন দাস। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন চন্দনই। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার স্বরূপ দাস, সুদীপ চক্রবর্তী প্রমুখ। সন্ধ্যায় আতসবাজির প্রদর্শনী হয়। মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবের কর্মকর্তারাও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।