ডাকঘরে চুরি, পঞ্চায়েতের নথি তছনছ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর
তালা ভেঙে ঢুকে ডাকঘর থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে পালাল এক দল দুষ্কৃতী। রেহাই পায়নি একই ভবনে থাকা পঞ্চায়েত দফতরও। সেখানেও আলমারি ভেঙে কাগজপত্র লন্ডভন্ড করে যায় তারা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের বালিগোড়ীতে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দোতলা ভবনের এক তলায় ডাকঘর। দোতলায় বালিগোড়ী-২ পঞ্চায়েত কার্যালয়। ওই রাতে শাটার এবং কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। ডাকঘরে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, তাদের দফতরের ছ’টি ঘরের তালা ভাঙে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি আলমারি ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়। একটি ঘরে ১০০ টাকা নগদ ছিল। তাও নেয় তারা। সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিডিও প্রভাংশু হালদারও ঘটনাস্থলে যান। ডাকঘর ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সঞ্জয় বেলেল বলেন, ‘‘দফতরে নগদ টাকা তেমন ছিল না তাই রক্ষে। তবে জরুরি কাগজপত্র কিছ খোওয়া গিয়েছে কি না দেখা হচ্ছে। থানা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, পঞ্চায়েত দফতরে টাকাপয়সার খোঁজেই আলমারি ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কটূক্তির প্রতিবাদ করায় চন্দননগরে প্রহৃত দর্শনার্থী
কটূক্তির প্রতিবাদ করায় একদল যুবকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এক দর্শনার্থী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে চন্দননগরের জ্যোতির মোড়ে। এলাকার কিছু দোকানদার এবং ভাসান দেখতে আসা অন্য দর্শনার্থীরা এগিয়ে এলে বেগতিক বুঝে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। আহত সুকান্তবাবুকে চিকিত্সার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তাঁর মাথায় সেলাই করতে হয়। রাতেই ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখান থেকে তাঁদের বলা হয় ঘটনাটি চন্দননগর এলাকায় ঘটায় সেখানকার থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। সোমবার চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুকান্তবাবু। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রেশ্বরের স্টেশন বাজার এলাকার বাসিন্দা সুকান্ত ভট্টাচার্য স্ত্রী এবং শ্যালকের মেয়েকে নিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর ভাসান দেখতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক তাঁদের উদ্দেশে কটূ মন্তব্য করে। তাতে কান না দিয়ে তাঁরা এগিয়ে গেলে যুবকদের মধ্যে একজন সুকান্তবাবুর স্ত্রীর হাত ধরে টানতে থাকে ও গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকী চিত্কার করলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয় বলে সুকান্তবাবুর অভিযোগ। তিনি রুখে দাঁড়ালে রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারতে থাকে এই যুবকেরা। তাঁর মাথা ফেটে যায়। হইচইতে আশপাশের কিছু দোকানদার এবং লোকজন এগিয়ে এলে যুবকেরা চম্পট দেয়।
বিজেপি নেতাকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল
বিজেপির এক নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে হুগলির চণ্ডীতলার বেণিপুর গ্রামের ঘটনা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ দলের চণ্ডীতলা অঞ্চলের সহ সভাপতি প্রবীর ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের কিছু লোক। তাঁকে মারধর ও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ঘরে ভাঙচুর করা হয়। আহত প্রবীরবাবুকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা স্বপন পালের দাবি, ‘‘জগদ্ধাত্রী পুজোয় এলাকায় ভাল জনসংযোগ করছিলেন আমাদের কর্মীরা। এটা তৃণমূলের ভাল লাগেনি। তাই এই হামলা। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ওই পরিবারের উপর গ্রামের অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। এটা তারই ফল। গ্রামবাসীদের তরফেও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
গোঘাটের কলেজে তালা ঝোলাল ছাত্ররা
ছাত্রছাত্রীদের কনসেশন কার্ড এবং পরিচয় পত্র বিলির দায়িত্ব তাঁদের হাতে দেওয়ার দাবিতে ফের সোমবার গোঘাটের কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যা মহাপিট কলেজের গেটে তালা দিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের একাংশ। গত শুক্রবারও একই দাবিতে তাঁরা কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন অবশ্য আলোচনায় বসে ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ সুভাষ দে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেন, বুধবার সরাসরি অফিস থেকেই কনসেশন কার্ড এবং পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। সংসদ বহির্ভূত কোনও ছাত্র কমিটিকে তা বিলি করার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। এর পরেই ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ তুলে নেন।
সমবায়ে নির্বাচনে জিতল তৃণমূল
সিপিএম এবং বিজেপিকে হারিয়ে পাণ্ডুয়ার দিঘা-দ্বারবাসিনী কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমূল। রবিবার এখানে ভোট ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৫৪টি আসনের মধ্যে ১৭টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় তৃণমূল। এ দিন বাকি ৩৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থীরা ৩৬টি আসনই দখল করে। একটি পেয়েছে বামেরা।
শববাহী গাড়ি
সাংসদ কোটার টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শববাহী গাড়ি পেল শেওড়াফুলির দীপচাঁদ ক্লাব। শনিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাব কর্মকর্তাদের হাতে গাড়িটি তুলে দেয়। অনুষ্ঠানে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান।
মোবাইলবন্দি জগদ্ধাত্রী। ভদ্রেশ্বর।
তৈরি হচ্ছে মহরমের তাজিয়া। উলুবেড়িয়ায় সোমবার সুব্রত জানার তোলা ছবি।