টুকরো খবর

আধার কার্ডে তথ্যের জায়গায় গালিগালাজ লেখা! ডাক মারফত শনিবার ওই কার্ড হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোলের পাড়ার বাসিন্দা, আলোক-শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র ভৌমিক ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের। তাঁদের অভিযোগ, বিষয়টি পাঁচ কান হয়ে যাওয়ায় হাসি-মস্করা হচ্ছে। লজ্জায় তাঁরা বাইরে বেরোতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলর মণিদীপা ভট্টাচার্য এবং পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহকে বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০২
Share:

আধার কার্ডে লেখা গালিগালাজ, বিড়ম্বনা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বৈদ্যবাটি

আধার কার্ডে তথ্যের জায়গায় গালিগালাজ লেখা! ডাক মারফত শনিবার ওই কার্ড হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোলের পাড়ার বাসিন্দা, আলোক-শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র ভৌমিক ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের। তাঁদের অভিযোগ, বিষয়টি পাঁচ কান হয়ে যাওয়ায় হাসি-মস্করা হচ্ছে। লজ্জায় তাঁরা বাইরে বেরোতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলর মণিদীপা ভট্টাচার্য এবং পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহকে বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন। আজ, সোমবার জেলাশাসকের কাছে বিষয়টির তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাবেন তাঁরা। কৃষ্ণচন্দ্রবাবু বলেন, “শনিবার বিকেলে বাড়ি ফিরে কার্ড দেখে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি।” অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন পুরপ্রধান। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আধার কার্ড কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। তাদের ঠিক করা সংস্থাই নির্দিষ্ট এলাকার পরিবারের তথ্য সংগ্রহের কাজ করে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) আবিদ হোসেন বলেন, “এমনটা হয়ে থাকলে গর্হিত অপরাধ। ওই পরিবারের তরফে জেলাশাসকের দফতরে সেনসাস বিভাগে কার্ডের ফটোকপি দিয়ে অভিযোগ জানানো হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু সালেপুর-১ পঞ্চায়েতে

নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

ব্যাঙ্ক পরিষেবা হাতের নাগালে এল আরামবাগের সালেপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। শনিবার পঞ্চায়েত অফিসের নীচের তলায় চালু হল স্টেট ব্যাঙ্কের শাখা। উদ্বোধন করেন আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। আজ, সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ চলবে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এত দিন ওই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ব্যাঙ্কই ছিল না। পরিষেবা পেতে গ্রামবাসীদের যেতে হচ্ছিল আরামবাগ শহর বা অন্য পঞ্চায়েত এলাকায়। এ বার সেই পরিষেবা হাতের কাছে আসায় তাঁরা খুশি। এ বার সহজে ঋণ মিলবে বলে তাঁদের আশা। রামনগর গ্রামের দিনমজুর শঙ্কর রায় বলেন, “১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে নানা হয়রানি হত। এ বার সেই সমস্যা থাকবে না।” মানিকপাট গ্রামের সুনীল পরামানিক বলেন, “দূরের ব্যাঙ্কে ঋণ পেতে নানা সমস্যা হত। তা আর থাকবে না বলেই মনে হয়।” পঞ্চায়েত প্রধান গুণধর খাঁড়াও মনে করেন, “এ বার নানা সরকারি প্রকল্পে মজুরি এবং অনুদান প্রদানে দেরি হবে না। সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণে তৎপরতাও বাড়বে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে ২০৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪০টি পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত বা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নেই। সেই ৪০টির মধ্যে প্রথম দফায় ১১টি পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্কের শাখা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবং তা হবে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরেই।

টাইলস কেনা নিয়ে বচসা, মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

টাইলস কেনা ও সরবরাহ নিয়ে বচসার জেরে আরামবাগের লিঙ্ক রোডের এক ব্যবসায়ীর দোকানে ভাঙচুর, লুঠপাট ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালের ঘটনা। সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূল নেতাও পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী বিকাশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারধর ও প্রতারণার পাল্টা অভিযোগ করেছেন থানায়। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকাশবাবুর অভিযোগ, শনিবার দুপুরের মধ্যে সব মালপত্র পাঠানোর কথা ছিল সুজিতবাবুকে। কিন্তু ওই টাইলস পাঠাতে কিছুটা দেরি হচ্ছিল। বিকেলে দোকানে সুজিতবাবু হামলা চালান। সুজিতবাবুর পাল্টা দাবি, আগাম দাম মেটানো সত্ত্বেও কেন টাইলস পাঠানো হয়নি, তা দোকানে জানতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে আরামবাগের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, নিতান্তই ব্যবসায়িক গোলমাল। ঘটনার সঙ্গে দল জড়িত নয়।

মালগাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষ

প্রহরীবিহীন লেভেলক্রসিংয়ে ট্রাককে ধাক্কা মারল একটি মালগাড়ি। মালগাড়ির গতি কম থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানার মেকাতলা লেভেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে রেলের পদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। ওই লেভেলক্রসিং পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের উপরে। তাই এই দুর্ঘটনার জেরে ওই রাস্তায় ঘণ্টা দুয়েক যান চলাচল ব্যাহত হয়।

বিজেপি-র গাড়ি আটকানোর নালিশ

কলকাতায় দলীয় জনসভায় যাওয়ার পথে রবিবার সকালে খানাকুলের সেকেন্দারপুর এবং তাঁতিশালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দু’টি গাড়ি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে সেকেন্দারপুরে দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। বিজেপি-র দাবি, তাদের সমর্থকদের নিয়ে ওই গাড়ি দু’টি শেষ পর্যন্ত আর কলকাতায় যেতে পারেনি। বিজেপির আরামবাগ জেলা সম্পাদক অসিত কুণ্ডু বলেন, “বিষয়টি দলের রাজ্য নেত্ৃত্বকে জানিয়েছি। থানাতেও অভিযোগ জানানো হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement