বাঁশের ঘায়ে যুবকের মৃত্যু, বাবা গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর
ঘরে যুবক ছেলের তাণ্ডব থামাতে তাঁকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে তারকেশ্বরের বিষ্ণুবাটি গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম কল্যাণ সামন্ত (৩৯)। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বাবা মহাদেব সামন্তকে। পুলিশ জানায়, বাঁশের আঘাতে ছেলে লুটিয়ে পড়ার পরে মহাদেববাবুই তাঁকে তারকেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ধৃতের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতের দাবি, “আমি ছেলেকে খুন করতে চাইনি। ওঁর তাণ্ডব থামানোর জন্য বাঁশ দিয়ে মেরে শাসন করতে গিয়েছিলাম। আচমকা ওঁর মাথায় লেগে যায়।” পুলিশের অনুমান, মস্তিষ্কের ভিতরে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে কল্যাণের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম স্ত্রীকে গ্রামেরই অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়ে বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন পেশায় দিনমজুর কল্যাণ। পরিবারের কেউ তা মানতে পারেননি। এ নিয়ে তখন থেকেই কল্যাণের সঙ্গে বাড়ির সকলের অশান্তি চলছিল। পড়শিরা কয়েক বার তা মেটানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে রান্নাপুজো ছিল। পুজো মিটতেই ওই পরিবারে ফের অশান্তি শুরু হয়। কল্যাণ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁকে থামাতে বাঁশ দিয়ে মহাদেববাবু আঘাত করেন বলে অভিযোগ। কল্যাণ লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কল্যাণকে মৃত ঘোষণা করলে মহাদেববাবুই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়।
দু’দিন নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল পুকুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া
দু’দিন ধরে নিখোঁজ এক যুবকের মৃতদেহ মিলল তাঁর মামারবাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে। রবিবার সকালে চুঁচুড়ার হালদারবাগান এলাকার একটি পুকুরে সৌরভ রুদ্র (২২) নামে ওই যুবকের দেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশের অনুমান, ওই পুকুর পাড় দিয়ে অসতর্ক অবস্থায় যাওয়ার সময় কোনও ভাবে জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভের বাবা-মা কলকাতার বউবাজারে থাকেন। সৌরভ ছেলেবেলা থেকেই হালদারবাগানে মামারবাড়িতে মানুষ। শুক্রবার রাতে ঝগড়া করে মামারবাড়ি থেকে কাউকে না জানিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। মৃতের মামা সত্যজিৎ দাস জানিয়েছেন, সৌরভ মাঝেমধ্যেই কাউকে না জানিয়ে নিজের বাড়ি চলে যেতেন। শুক্রবার তিনি চলে যাওয়ার পরে তাই তাঁরা আর খোঁজখবর করেননি। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যাওড়াফুলি
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিন ব্যক্তির। শনিবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় শ্যাওড়াফুলি স্টেশনের ৪ নম্বর গেটের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজনের নাম গৌতম মল্লিক (৪২)। তিনি শ্যাওড়াফুলির গোলাপবাগানের বাসিন্দা। বাকি দুজনের নাম-ঠিকানা রবিবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রাথমিত তদন্তে রেল পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই তিন ব্যক্তি রেল লাইনের উপর বসে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময় হাওড়া-তারকেশ্বর আপ লোকাল স্টেশনে ঢুকছিল। নেশার ঘোরে থাকার জন্য তিনজনের কেউই তা বুঝতে পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তিনজনরেই মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নয়ানজুলিতে বাস, জখম ১০
নয়ানজুলিতে বাস পড়ে জখম হয়েছেন ১০ জন যাত্রী। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের কাছে মুম্বই রোডে। পুলিশ জানায়, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে প্রায় দেড়শো জন যাত্রী নিয়ে বাসটি তারকেশ্বর যাচ্ছিল। বীরশিবপুরের কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ালজুলিতে পড়ে যায়।