টুকরো খবর

প্রবীণ সিপিএম নেতা বিনোদ দাসের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক ছিলেন। বস্তুত হুগলির প্রবীণতম সিপিএম নেতা ছিলেন বিনোদবাবু। শুক্রবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৩
Share:

মারা গেলেন সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

প্রবীণ সিপিএম নেতা বিনোদ দাসের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক ছিলেন। বস্তুত হুগলির প্রবীণতম সিপিএম নেতা ছিলেন বিনোদবাবু। শুক্রবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। বিনোদবাবু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন। হুগলির প্রথম সারির কৃষক নেতা ছিলেন তিনি। কৃষকদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে তিনি দীর্ঘদিন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ ১৫ বছর দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন এই জনপ্রিয় নেতা। দলের প্রতি তাঁর সততা, নিষ্ঠা ছিল প্রশ্নাতীত। তাই দলের সব শ্রেণির কর্মী-নেতাদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তিনি রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন। জেলা বামফ্রন্টেরও আহ্বায়ক ছিলেন। হুগলি জেলায় সিপিএমের বর্তমান সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিনোদবাবু বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তবে শেষদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন পার্টির জন্য নিবেদিত প্রাণ।” এ দিন তাঁর মরণোত্তর চক্ষু সংগ্রহ করা হয় শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষু ব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানে। পরে সংগৃহীত চোখ দু’টি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

বাগনানে টালির কারখানায় আগুন

আগুন নেভানোয় ব্যস্ত দমকলকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

আগুনে পুড়ে গেল একটি টালি কারখানার কাঁচামাল। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ বাগনানের পাতিনানে ওই টালির কারখানায় আগুন লাগে। দমকলে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা আসার আগে কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সন্ধে ৬টা নাগাদ তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানার ভিতরে একটা বিরাট অংশ জুড়ে প্রচুর প্লাস্টিক মজুত করা ছিল। ফলে আগুন লাদার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, কারখানার লাগোয়া মাঠের ঘাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকেই কারখানার ভিতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু

কাজে যাওয়ার সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভদ্রেশ্বর থানার অর্ন্তগত পূর্ব বিশালাক্ষীতলার বাসিন্দা বিদ্যুৎ ভৌমিক (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ় চন্দননগর রেল স্টেশনের আপ প্লাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। অসতর্ক ভাবে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকায় ট্রেনের ধাক্কায় লাইনে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎবাবু জিরাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রানি ভবশঙ্করী স্মৃতি মেলা উদয়নারায়ণপুরে

হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ঐতিহাসিক গড় ভবানীপুরে রানি ভবশঙ্করীর রাজপ্রসাদটি ধ্বংস হয়ে গেলেও প্রাচীন গোপীনাথ জিউ মন্দির আজও তার সাক্ষ্য বহন করছে। রানির স্মৃতিতে প্রতি বছরই মেলার আয়োজন করে রানি ভবশঙ্করী স্মৃতি মেলা কমিটি। গত ১ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি সেই মেলা অনুষ্ঠিত হল গড় ভবানীপুর গড় মন্দির সংলগ্ন মাঠে। উদ্বোধন করেন জেলা সভাধিপতি করবী ধূল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুলতান আহমেদ, বিধায়ক সমীর পাঁজা প্রমুখ। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, আবৃত্তি, নৃত্য, অঙ্কন, ক্যুইজ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল। তােঁlর শাড়ি থেকে পাটের ব্যাগ, কৃষি, শিল্প, পুষ্প প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। রানি ভবশঙ্করীর জীবনের কাহিনী নিয়ে মাটির পুতুলের প্রদর্শনীটি আকর্ষণীয় ছিল। মেলায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বিদ্যালয়ের শতবর্ষ

সাঁকরাইল অভয়চরণ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হল ১ ফেব্রুয়ারি জমিদার মাঠে। প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান শিক্ষক লোচনচন্দ্র মাজি। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিনে পরিবেশিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল পাঁচশোরও বেশি প্রতিযোগী।

শিশু উৎসব

বাঁকুড়দহ যুবক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত ২৪ তম শিশু উৎসব হয়ে গেল ১ ফেব্রুয়ারি। উৎসবে গান, আবৃত্তি, নৃত্য, প্রতিযোগিতা ছিল। বিশেষ আকর্ষণ ছিল পুষ্প প্রদর্শনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement