মাঠের মাঝখানে তৈরি হয়েছিল হেলিপ্যাড। দূরে খোলা পড়ে স্টলের বাঁশ। নিজস্ব চিত্র
বইমেলার মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড হয়েছে। তার জেরে নির্দিষ্ট দিনে ‘সিঙ্গুর বইমেলা’ শুরু করা যাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত ২১ বছর ধরে ওই বইমেলা হচ্ছে অপূর্বপুরের একটি ক্লাবের মাঠে। এ বার ৮ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বইমেলার দিন ঠিক হয়েছে। ওই মাঠে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাঁশের কাঠামো বাঁধার কাজ চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সেই কাঠামো খুলে ফেলতে হয়। মাঠ চলে যায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কলকাতা ফেরার পথে প্রয়োজনে তাঁর হেলিকপ্টার সিঙ্গুরে নামতে পারে এবং মুখ্যমন্ত্রী বাকি রাস্তা গাড়িতে যেতে পারেন, এই সম্ভাবনার কথা ভেবে মঙ্গলবার থেকেই সেখানে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রীকে অবশ্য এ দিন ওই মাঠে নামতে হয়নি।
কিন্তু আর কয়েক দিনের মধ্যে কী ভাবে বাকি কাজ শেষ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বইমেলা উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানান, মেলায় মোট ৪৮টি স্টল বসবে। মেলা প্রাঙ্গণের মঞ্চে বিজ্ঞান প্রর্দশনী, আলোচনাচক্র, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হওয়ার কথা। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সহ-সম্পাদক দীপক ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসন জানিয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠে কাজ করা যাবে। কিন্তু মাত্র আট দিনে পরিকাঠামো তৈরি করা খুবই কঠিন। মঞ্চের জন্য বাঁশ বাঁধার কাজ হয়ে গিয়েছিল। স্টলের জন্য বাঁশ বাঁধা হচ্ছিল। সব খুলে ফেলা হয়। নির্দিষ্ট দিনে উদ্বোধন করা যাবে কিনা, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।’’
এ ব্যাপারে সিঙ্গুর ব্লক প্রশাসনের কর্তারা মুখ খোলেননি। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বইমেলায় সমস্যা হবে কেন? এখনও তো বেশ কয়েক দিন বাকি আছে।’’ কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে বইমেলা শুরু করা যাবে কিনা, তা নিয়ে এলাকায় চর্চা চলছেই। এ দিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ খুলে এক পাশে রাখা রয়েছে। মাটিতে বাঁশ পোঁতার চিহ্ন। স্থানীয় যুবক অর্পণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই বইমেলার জন্য মুখিয়ে থাকি। কিন্তু এ বার ঘোষিত দিনে শুরু করা নিয়েই শুনছি প্রশ্ন রয়েছে।’’