আলোচনা: বৈঠক শেষে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি: সুব্রত জানা
তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের মৃত্যুর পরে উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনটি ফাঁকা হয়েছে। তবে সেখানে এখনও উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই এই লোকসভাকে পাখির চোখ করে মাঠে নেমে পড়ল বিজেপি। সোমবার উলুবেড়িয়া লোকসভার অন্তর্গত শ্যামপুরে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছিলেন বিজেপির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ যাদব।
এ দিন শ্যামপুরের একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বৈঠকটি হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব অধীর আগ্রহে উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এখানে জিততে পারলে সেটি দলের কাছে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজ্যের ক্ষমতা দখলে বাধা থাকবে না।’’ বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনে কী ভাবে লড়তে হবে সেই বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বিজয়বর্গীয়। উলুবেড়িয়া লোকসভার অধীনে সাতটি বিধানসভার প্রতিটিতে একজন করে কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরাই উপনির্বাচন পরিচালনা করবেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজয়বর্গীয়। সেখানে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন, ‘‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রকল্পের নাম বদলে নির্মল বাংলা প্রকল্প বলে চালাচ্ছেন। সব জায়গায় নিজের ছবি দিয়ে প্রচার করছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে এই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্পে রাজ্য সরকার কত টাকা পেয়েছে সেই নিয়ে রাজ্য সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার বৈঠককে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়ার মানুষ রাজনীতি সচেতন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখছেন। উপনির্বাচন হলে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’’