ডিওয়াইএফ কর্মীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের মতামত পোস্ট করেন ডিওয়াইএফ কর্মী এক তরুণী। ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী-সহ দলের লোকজনকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপির একদল কর্মী-সমর্থক তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। মঙ্গলবার সকালে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের চন্দ্রহাটি-১ পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।ওই তরুণী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পরে পরিবেশবিদ্যা নিয়ে গবেষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনা নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির একদল লোক আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগালাজ করে। মারতে উদ্যত হয়। কদর্য ভাষায় হুমকি দেয়। গণতান্ত্রিক দেশে বাক্ স্বাধীনতা থাকবে না? বিজেপি সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপির একদল পুরুষ-মহিলা তরুণীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। অভিযোগ তোলেন, সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি সম্পর্কে কুরুচিকর পোস্ট করেছেন তিনি। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির সমর্থকদের খাটো করার চেষ্টা করছেন। বিক্ষোভের জেরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডিওয়াইএফের মগরা লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা জেলা কমিটির সদস্য রুদ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি বাড়িতে চড়াও হয়ে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা মানা যায় না। মগরা থানায় এই নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির মগরা মণ্ডলের সভাপতি সন্দীপ সাধুখাঁর দাবি, ‘‘প্রতিবাদের নামে ওই তরুণী ফেসবুক পোস্টে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। তাই আমাদের দলের মহিলা মোর্চার তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিনি এমন করছেন। মিথ্যা পোষ্ট করতে মানা করা হয়। কেউ গালাগাল করেননি। হুমকিও দেওয়া হয়নি।’’