প্রতীকী ছবি।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য একটা অতিরিক্ত দিন। আর সে দিনই শাসকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতারা। আবার প্রশাসনের হিসাব বলছে, বিরোধী দলের মনোনয়ন এ দিন জমা পড়েছে ভালই।
হুগলি জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, হুগলি জেলা পরিষদে মোট ৫০টি আসনের মধ্যে তাঁরা ৪৮টি আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছেন। সোমবারের আগে পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ছিল ৪৭। ওই দিন জাঙ্গিপাড়ার এক ওবিসি মহিলা প্রার্থী নতুন করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শ্রীরামপুরে।
একই ভাবে পঞ্চায়েত সমিতিতে জেলায় মোট ৬০৭টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৩১৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। দলীয় পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী যা মোট আসনের ৫১ শতাংশ। সোমবার সিপিএম পোলবা, পাণ্ডুয়া, দাদপুর ছাড়াও জেলার অন্যান্য এলাকা থেকে আরও সাতটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
হুগলিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৩১৯২টি আসন রয়েছে। সিপিএমের দলীয় অঙ্ক বলছে এ পর্যন্ত ১৫১২টি আসনে তারা প্রার্থী দিতে পেরেছে, যা মোট আসনের ৪৮ শতাংশ। সোমবার তারা মোট ৫৯টি গ্রামপঞ্চায়েতের আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, এই সংখ্যাটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপিও মনোনয়ন পেশে এগিয়ে গিয়েছে অনেকখানি। হুগলিতে শুধুমাত্র সোমবার বিজেপি মোট ছ’টি জেলা পরিষদ আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছে। অর্থাৎ মোট ৪৪ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি। একই ভাবে জেলার ১২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৪৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিজেপি নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা করতে পেরেছে।
যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘জেলার প্রতিটি আসনেই আমাদের প্রার্থী তৈরি ছিল। শাসকের হুমকি-ধমকিতেই অনেকে শেষবেলায় পিছিয়ে গিয়েছেন। অথচ, শাসক বলছে আমরা নাকি প্রার্থী খুঁজে পাইনি। এটা মিথ্যা প্রচার।’’ বিজেপি রাজ্য ওবিসি সেলের সভাপতি স্বপন পাল আবার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত স্তরে বহু মানুষ তৈরি ছিলেন শাসকের রক্তচক্ষু এড়িয়ে ভোটে লড়তে। কিন্তু প্রশাসন, পুলিশ পাশে না থাকায় আমরা যতটা আশা করেছিলাম ততটা পারিনি।’’