মেঠো: জমিতে নেমে চাষিদের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফোন নম্বর বিলি বেচারামের। ছবি: সুশান্ত সরকার
গত প্রায় তিন বছর ধরে খারাপ হয়ে পড়েছিল মিনি ডিপ টিউবওয়েলটি। বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পরই পরিদর্শনে এলেন হরিপালের বিধায়ক তথা রাজ্য কিসান খেত মজদুর তৃণমূলের সভাপতি বেচারাম মান্না। পান্ডুয়া ব্লকের শিখিরা-চাপতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দশদরুন গ্রামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই গ্রামের প্রায় ৯০০ বিঘা চাষযোগ্য জমির ভরসা একটি মিনি ডিপ টিউবওয়েল। ২০১৬ সালের জুন মাস নাগাদ টিউবওয়েলের পাম্পটি খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকে আর জল পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় পাম্প ঘরের দরজা জানলা চুরি হয়ে গিয়েছে। ঘরটি বর্তমানে জঞ্জালে পরিপূর্ণ। সাপের বাসা রয়েছে।
দশদরুন গ্রামের চাষি শেখ আবদুল মালেক, মহাদেব সরেনরা জানান, গত সপ্তাহে ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে তাঁরা সমস্ত বিষয়টি জানান। এর আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও, প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এমনকী, নবান্নতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। যদিও কোনও সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ বেচারামবাবু এলাকায় এসে চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। টিউবওয়েলটি ঘুরে দেখেন। তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন বলে তাঁদের আশ্বাস দেন। এলাকার চাষিদের অভিযোগ, জলের অভাবে তিন বছর ধরে জমিতে ধান ও আলু চাষ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যাপ্ত বৃষ্টিও হচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
তৃণমূল পরিচালিত শিখিরা-চাপতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌরী ঘোষ বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করেছিলেন গ্রামের চাষিরা। শুক্রবার নবান্ন থেকে বিকল টিউবওয়লের বিষয়ে মেল পেয়েছি। দেখা যাক কবে থেকে কাজ শুরু হয়।’’
পান্ডুয়ার দশদরুন গ্রামে টিউবওয়েলটি পরিদর্শন করে বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘টিউবওয়েলটি কেন খারাপ হল তা খতিয়ে দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা চালু করা হবে।’’