— ফাইল চিত্র।
গঙ্গা দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব পরিবেশবিদরা। তা ঠেকাতে নানা নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এ বার শহরের গঙ্গামুখী নালাগুলির জল পুরোপুরি দূষণমুক্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে চন্দননগর পুরসভা। নালাগুলি যেখানে গঙ্গায় মিশেছে, সেখানে আগেই তারজাল লাগানো হয়েছিল। যাতে সেই জালে প্লাস্টিক, বোতল-সহ কঠিন বর্জ্য আটকে গিয়ে আর গঙ্গায় পড়তে না-পারে।
আগের ব্যবস্থায় দূষণ কিছুটা কমানো গেলেও নালার জল পুরোপুরি দূষণমুক্ত হয়নি। এ বার সে কাজেই হাত দিয়েছে চন্দননগর পুরসভা। পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার সঙ্গে পুরসভার তরফে যোগাযোগ করা হয়। তারা নর্দমার জলে বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওই ব্যাকটেরিয়া মানুষের পক্ষে উপকারী বন্ধুর মতো কাজ করবে। তারা জলের সব দূষিত জীবাণু খেয়ে ফেলবে। নর্দমার জলকে তারা ওই প্রক্রিয়াতেই পুরোপুরি দূষণমুক্ত করে দেবে। তারপর সেই জল গঙ্গার গিয়ে পড়লে দূষণের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন প্রকল্প রূপায়ণে পুরসভার তিন কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। একমাত্র কেএমডিএ-র এলাকা বাদে রাজ্যে কোথাও এই ধরনের প্রকল্প হয়নি। ওই বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে প্রকল্প তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। টাকা অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) পাঠানো হয়েছে। ওই প্রকল্পের সঙ্গে পুরসভার তরফে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের দাবি, রাজ্যের গঙ্গা লাগোয়া প্রতিটি পুরসভা এই প্রকল্পে কাজ করলে নদীদূষণ রোখা যাবে।
চন্দননগর পুর এলাকায় গঙ্গামুখী মোট ন’টি বড় নালা রয়েছে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন ছোট নালা মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪১। প্রতিটি নালাতেই ওই নতুন প্রকল্পের আওতায় কাজ হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বড় নালাগুলির মুখেই তারজাল লাগানো আছে। সেখানে জমা কঠিন বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তুলে নিয়ে যান পুরসভার সাফাইকর্মীরা।