বাঘ-ভাল্লুক নই, গ্রামে গিয়ে অভয় বিধায়কের

শনিবার সকালে আরামবাগের গৌরহাটি গ্রামে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে জনসংযোগ করলেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

জনসংযোগ: গৌরহাটি গ্রামে বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। —নিজস্ব চিত্র

অনেকেই কথা বলতে ইতস্তত করছিলেন। তা দেখে বিধায়কের অভয়-বাণী, ‘‘আমি বাঘ-ভাল্লুক নই। কাছে আসুন। কথা বলুন। সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে মন খুলে বলুন। আমি সমাধান না করতে পারলে দিদিকে বলতে পারেন।”

Advertisement

শনিবার সকালে আরামবাগের গৌরহাটি গ্রামে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে এ ভাবেই জনসংযোগ করলেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। লোকসভা ভোটের সময় থেকেই ওই এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ যাতে বিধায়কের কাছে সমস্যার কথা না জানান, সে জন্য বিজেপির তরফে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ব্যর্থ করতে কয়েক দিন ধরেই বিজেপির লোকেরা ঘরে ঘরে হুমকি দেয়, বিধায়ক এলে কেউ যাতে বাড়ি থেকে না বের হন। বিধায়ককে যেন বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া যায়।’’ ফতোয়া না মানায় অবনী মুহুরি নামে এক তৃণমূল সমর্থকের মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ক বলেন, “আমাদের সামনে ওরা কোনও অসভ্যতা করেনি। তবে, আমরা পৌঁছনোর আগে বা পরে অশান্তি করেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির আরামবাগ মণ্ডলের সভাপতি কিঙ্কর পালের দাবি, ‘‘ওদের এই কর্মসূচি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। সাধারণ মানুষ কাটমানি ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।”

এ দিন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ শুনতে হয় বিধায়ককে। তিনি বলেন, ‘‘দিদিকে বলো কর্মসূচিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় কাটমানি নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। অনেক উপভোক্তাই টাকা ফেরত দিয়েছেন।” এ দিন কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থকও বিধায়কের কাছে অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানিয়েছেন বলে বিধায়কের দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement