নদী ভরিয়ে চলছে দখলদারি। নিজস্ব চিত্র।
জলাশয় ভরিয়ে বাড়িঘর করে ফেলার ঘটনা এখন আখছার দেখা যাচ্ছে। তা বলে নদী ভরিয়ে জমি দখলের কথা শুনেছেন? এমন অভিযোগই উঠছে হুগলির সুগন্ধা নারায়ণপাড়া গ্রামে। যেখানে টিনের গার্ডওয়াল দিয়ে মাটি ফেলে রীতি মতো নদীর জমি দখল চলছে। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই এ সব হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী কেশব ঘোষের বাড়ির পিছনে রয়েছে কুন্তি নদী। অভিযোগ সেই নদীর পাড়ে ভিতরের দিকে টিনের গার্ডওয়াল তুলে তাতে মাটি ফেলে ভরাট করা চলছে। এই ভাবে নদীর জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কেশবের বিরুদ্ধে। যদিও কেশবের দাবি, পাড় ভেঙে যাতে বাড়ি নদী গর্ভে না চলে যায় তাই মাটি ফেলে ধ্বস আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, নদীর পাড়ে এ ভাবে মাটি ফেলতে গেলে যে সরকারি অনুমতি লাগে তা তিনি জানতেন না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হইচই শুরু হতেই কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন কেশব।
দিনের আলোয় জেসিবি দিয়ে এ ভাবে মাটি ফেলে নদী দখল হয়ে গেলেও সুগন্ধা পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই নদী দখলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় পদক্ষেপ করছে সেচ দফতর। হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “নদী ভরাট বেআইনি। আমরা বিএলআরও এবং জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারকে সরেজমিনে তদন্ত করতে পাঠাচ্ছি। যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বিজেপি নেতা স্বরাজ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘নদী ভরাট করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না। তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই সব নদী ভরাট চলছে।’’
তবে সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।