হাতেনাতে: উদ্ধার হওয়া সেই ময়াল। নিজস্ব চিত্র
মাছ ধরার জালটা টানতেই প্রথমে একটু ভারী লেগেছিল। বছর পঞ্চাশের লক্ষ্মীকান্ত সাউ ভেবেছিলেন, বড় মাছ ধরা পড়েছে বোধহয়। কিন্তু জাল টেনে ডাঙায় তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! একটা ময়াল গুটিসুটি মেরে জড়িয়ে রয়েছে জালে। জাল সমেত তাকে বাড়ি এনে লক্ষ্মীকান্তবাবু ফোন করেন বন দফতরের অফিসে। বৃহস্পতিবার সকালে কুলগাছিয়ার পশ্চিম জয়নগর থেকে ময়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন বন দফতরের উলুবেড়িয়া রেঞ্জের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীকান্তবাবু পেশায় দিনমজুর। মাছ ধরা তাঁর নেশা। তাঁর বাড়ির কাছের জমিতেই দামোদর নদ থেকে সেচের জল ঢোকার জন্য খাল কাটা রয়েছে। আর সেখানেই মাছ ধরার জন্য প্রতিদিন ফাঁদ পাতেন লক্ষ্মীকান্তবাবু। মাছ ধরার সময় জালে সাপ পড়ার ঘটনা নতুন নয়। বুধবার রাতে তাই জালে সাপ ধরা পড়ায় অবাক হননি তিনি। কিন্তু তারপরই সাপের আকার আর রং দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। লক্ষ্মীকান্তবাবুর কথায়, ‘‘ময়ালের ছবি দেখেছি। তাই সাপটাকে দেখেই চিনতে পেরেছিলাম। তাই তড়িঘড়ি বন দফতরে বিষয়টা জানাই।’’
বৃহস্পতিবার সকালে বন দফতরের কর্মীরা গ্রামে আট ফুটের সাপটিকে উদ্ধার করে ৫৮ গেট প্রাণিস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। বন দফতরের আধিকারিক উলুবেড়িয়া রেঞ্জ অফিসার উৎপল সরকার বলেন, ‘‘হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় চট করে এমন ময়ালের দেখা মেলে না। কী ভাবে সাপটি এখানে এল, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে সাপ দেখেই মেরে ফেলার প্রবণতা মানুষের কমছে, এটাই আনন্দের।’’