সাফাই নিয়ে ক্ষোভ শ্রীরামপুরে

দুর্গাপুজোর সময় থেকেই ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। জীতেন্দ্রনাথ লাহিড়ি রোড, রাইল্যান্ড রোড, বঙ্গলক্ষ্মী, খটির বাজার, গাঙ্গুলিবাগান, জগন্নাথ মন্দিরের আশপাশের এলাকা, বিধান পার্ক প্রভৃতি জায়গায় ডেঙ্গি ছড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

সুনিধি শর্মা। ছবি: দীপঙ্কর দে

চোখরাঙানি চলছিলই। এ বার প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি। শ্রীরামপুরে এখন তিন বছর আগের ‘ডেঙ্গি-মহামারি’র ছায়া দেখছেন অনেকে।

Advertisement

দুর্গাপুজোর সময় থেকেই ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। জীতেন্দ্রনাথ লাহিড়ি রোড, রাইল্যান্ড রোড, বঙ্গলক্ষ্মী, খটির বাজার, গাঙ্গুলিবাগান, জগন্নাথ মন্দিরের আশপাশের এলাকা, বিধান পার্ক প্রভৃতি জায়গায় ডেঙ্গি ছড়ায়। চিকিৎসকের ‘চেম্বার’ ভরে ওঠে জ্বরের রোগীতে। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে অনেকে নার্সিংহোম, হাসপাতালে ভর্তি হন। কলকাতার হাসপাতালেও যেতে হয় অনেককে। শহরবাসীর অভিযোগ, ডেঙ্গি-মোকাবিলায় পুরসভার যে উদ্যোগ গত দু’বছরে দেখা গিয়েছিল, এ বার তা ছিল না। সেই সুযোগে ডেঙ্গি জাঁকিয়ে বসে। পরে অভিযানে নামলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টে শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কেএল গোস্বামী সরণির বাসিন্দা, পাঁচ বছরের সুনিধি শর্মার মৃত্যু আতঙ্ক বাড়াল।

এখনও ওই এলাকায় এখনও জ্বরের প্রকোপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। সোনালি চৌধুরী নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘গতকাল রাত থেকে জ্বর হয়েছে আমার। গায়ে ব্যথা। বমিও হচ্ছে। ডাক্তারবাবু রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেছেন।’’ সতীশকুমার সিংহ জ্বরে ভুগে আট দিন হাসপাতালে ছিলেন। সদ্য ছাড়া পেয়েছেন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। সুনিধিদের পড়শি রাজকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘ছটপুজোর সময় ভাল ভাবে সাফাই হয়েছিল। তার পরে হয়নি। পুরসভা গুরুত্ব দেয় না।’’ কান্তিদেবী চৌধুরী নামে এক মহিলার দাবি, ‘‘মশার ভীষণ উপদ্রব। কিন্তু মশা মারার ব্যবস্থা নেই। মাঝেমধ্যে টনক নড়ে। সাফাইয়ের হাল খুব খারাপ।’’ পাশের ওয়ার্ডে হাইড্রেন সাফ

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement