পুকুরেই পুলিশের জালে জিয়াদ

চারটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত সে। ধরার পড়ার পরে বর্ধমানের ভাতার থেকে জেল ভেঙে উলুবেড়িয়ার কৈজুড়িতে পালিয়ে আসে। সঙ্গে ছিলেন তিনজন স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে জেতে হল জিয়াদ মল্লিক নামে ওই ব্যাক্তিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০১:৩২
Share:

চারটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত সে। ধরার পড়ার পরে বর্ধমানের ভাতার থেকে জেল ভেঙে উলুবেড়িয়ার কৈজুড়িতে পালিয়ে আসে। সঙ্গে ছিলেন তিনজন স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে জেতে হল জিয়াদ মল্লিক নামে ওই ব্যাক্তিকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা জিয়াদের তিনটি বিয়ে। কৈজুড়ি তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মামারবাড়ি। খুন ও ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাতার থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে সে লকআপের জানলা ভেঙে পালিয়ে যায় ৬ জুন। তারপরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে থাকে সে। শেষে আশ্রয় নেয় উলুবেড়িয়ায় মামাশ্বশুরের বাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের দিন চারেক আগে সে উলুবেড়িয়ায় আসে।

মামিশ্বাশুড়ি মিনা বেগমের দাবি, ‘‘জামাই আমাদের বলেছিল, তাদের গ্রামে রাজনৈতিক অশান্তি চলছে। সেই কারণে সে এখানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। জামাইয়ের কথা বিশ্বাসও করে নিয়েছিলাম।’’ তিনি জানান, জিয়াদের প্রথম বিয়ে হয় প্রায় ২৫ বছর আগে। সে সময়েই প্রথম এখানে এসেছিল। তার পরে এই দ্বিতীয়বার তার মামাশ্বশুরের বাড়িতে আগমন। ফলে খুশিই হয়েছিলেন মামাশ্বশুরের বাড়ির লোকেরা। জিয়াদ ধরা পড়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে পরিবারের বহর দেখে কিছুটা বিব্রতও হয়েছিলাম। কারণ, এই ২৫ বছরের মধ্যে তার স্ত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। তার উপরে রয়েছে তাদের ছেলেমেয়ে। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী তো আবার সন্তান সম্ভবা। জামাই আদরে কোনও ত্রুটি রাখিনি। তবে জিয়াদ বাইরে বেরতো কম। দুপুরে একবার পুকুরে স্নান করতে নামত সে। তবে তেমন কোনও সন্দেহ হয়নি। জেল থেকে পালিয়ে এসেছে জানলে নিজেরাই ধরিয়ে দিতাম।’’

Advertisement

কী ভাবে ধরা পড়ল জিয়াদ? মোবাইল ফোনের টাওয়ার ‘লোকেট’ করে পুলিশ জানতে পারে, সে উলুবেড়িয়া শহরের আশপাশে রয়েছে। তার পর থেকেই জোর তল্লাশি শুরু হয়। আর মঙ্গলবার বিকেলে পুকুরে স্নান করতে যাওয়াই কাল হল তার। পুকুরে নামা মাত্র তাকে চিনে ফেলেন এলাকার তল্লাশিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা। পুকুর থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সে পড়ে যায় পুলিশের জালে। ওই দিন রাতেই উলুবেড়িয়া থেকে তাকে নিয়ে চলে আসে ভাতার থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement