ভাঙাচোরা: বৈদ্যবাটী ১১ নম্বর রেলগেট। ছবি: কেদারনাথ গোষ
রেল কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা বৈদ্যবাটী ১১ নম্বর ও শেওড়াফুলি ৪ নম্বর রেলগেটের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের রাস্তার অবস্থা বেহাল। চার-পাঁচ মাস ধরে রাস্তাটি এই অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচলতি সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চালকদের দাবি, অবিলম্বে রেল প্রশাসন রেলগেট দু’টির রাস্তা সংস্কার করুক। না-হলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁপদানি বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান রেল কর্তৃপক্ষকে রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন। রাস্তার ছবিও দিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ‘‘ওই রেলগেট দিয়ে ছোট বড় যানবাহন চলে। রাস্তার হাল খুব খারাপ হওয়ায় চালকদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। রেল লাইনের মধ্যে রাস্তায় গর্ত হয়ে যাওয়ায় গাড়ির চাকা পিছলে যাচ্ছে।
সবথেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়া রোগীদের। রেলগেটের সামনে খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তার জন্য জিটি রোডে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যাচ্ছে জল।’’
এ বিষয়ে মান্নান বলেন, ‘‘মানুষের অভিযোগ সত্যি। যাতায়াতের পথে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। বৈদ্যবাটী ও শেওড়াফুলির রেলগেট দু’টির অবস্থা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। শনিবার টেলিফোনে কথা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তা সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রাস্তা সংস্কার না হলে এ নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।’’
পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শেওড়াফুলি ৪ নম্বর রেলগেটের দুই পাড়ে গর্তগুলো অস্থায়ী ভাবে সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনের মধ্যের অংশের কাজ করতে সময় লাগবে। বৈদ্যবাটী ১১ নম্বর রেলগেটের রাস্তা সংস্কারের প্রস্তুতি চলছে। দ্রুত ওই রাস্তার সংস্কার করা হবে।’’