প্রতীকী ছবি
বাবা-মা ও বোন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বাড়ির যুবক ছেলের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’। তাঁকে গৃহ-নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু তিনি খাবার পাবেন কী ভাবে?
সমস্যায় পড়েছেন পাঁচলার গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতের পূর্ব জয়নগর এলাকার ওই যুবক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও তাঁর খাবারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি এবং আত্মীয়-স্বজন খাবার নিয়ে এলেও পাড়া-পড়শির একাংশ আপত্তি ও হেনস্থা করছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ওই যুবক বলেন, ‘‘দু’দিন অনাহারে কাটিয়েছি। তারপর এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই সংস্থাই গত শনিবার কিছু খাবার দিয়ে যায়। সে সব দিয়েই চালাচ্ছি।’’
বিডিও এষা ঘোষের দাবি, ‘‘ওই যুবক খাবারের সমস্যার কথা জানাননি। জানালে প্রশাসন ব্যবস্থা করবে। ওই যুবক শুধু হেনস্থার কথা জানিয়েছেন। পুলিশ ও পঞ্চায়েতকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান তাপস মাখাল বলেন, ‘‘ওইবাড়িটি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। সেই সময় কোনও হেনস্থার অভিযোগ পাইনি। পরে শুনেছি। গ্রামবাসীদের বোঝানো হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান এবং বোনকে নিয়ে ওই যুবকের সংসার। ওই পাড়াতেই যুবকের শ্বশুরবাড়ি। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তিনি বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছেন। করোনা রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হওয়ায় গত ২২ জুলাই স্বাস্থ্য দফতর যুবকের বাবা-মা ও বোনকে উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করে। যুবককে গৃহ-নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেন।
ওই যুবক বলেন, ‘‘ওঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যাওযার সময়েও পড়শিদের একাংশ আমি বাইরে বেরনোয় কটূক্তি করেন। আমার তো করোনা হয়নি। রিপোর্ট নেগেটিভ। আমি বাড়িতে এখন একা। আত্মীয়েরা খাবার দিতে এলে আপত্তি জানানো হচ্ছে।’’
এলাকাবাসী কটূক্তির অভিযোগ মানেননি। তাঁদের দাবি, রোগটা ছোঁয়াচে। স্বাস্থ্য দফতরই ওই যুবককে বাড়িতে থাকতে বলেছে। অথচ, তিনি বাইরে বেরোতে চাইছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।