প্রতীকী ছবি।
হুগলি তৃণমূলের কমিটি গঠনে নতুনদের গুরুত্ব দেওয়া হল। যে সব প্রবীণ নেতাকে সে ভাবে এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাঁদেরও নতুন কমিটিতে স্থান হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় দলের জেলা কমিটি এবং ব্লক ও টাউন মিলিয়ে মোট ৩১টি কমিটি গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে তা স্থগিত হয়ে যায়। রবিবার অবশ্য ওই ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, মোট ৮৮ জন জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। ৩৫ জনই নতুন মুখ। ৩১টি ব্লক ও টাউন কমিটির মধ্যে ২০টিতে নতুন মুখকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। বলাগড়, সিঙ্গুর, গোঘাট, খানাকুল-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে অতীতে যাঁরা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের জায়গায় কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে নতুনকে।
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক অরিত্র চট্টোপাধ্যায়কে জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হরিপালের জেলা পরিষদের সদস্য শম্পা দাসকে নিয়ে আমপানের পরে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল দলের অন্দরে। তিনি ঝড়ে পড়ে যাওয়া সরকারি গাছ নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বেচে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনিও জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। হরিপালের পোড়খাওয়া নেতা সমীরণ মিত্র এবং চুঁচুড়ার বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান অমিত রায়ও জেলা কমিটিতে এসেছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম জেলা কমিটিতে নতুন মুখ আসুক। রাজ্য নেতৃত্ব অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সেই আর্জিকে মান্যতা দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।’’